- এই মুহূর্তে দে । শ
- অক্টোবর ২৮, ২০২৪
সমাজমাধ্যমে বিরুদ্ধে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদ, বিজয়া সম্মেলনে সরব সাংসদ শর্মিলা

আরজিকর নিয়ে সমাজমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমের একটা অংশের ‘মিথ্যাচার, ভুয়ো তথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়ানো’র প্রতিবাদে সরব হলেন বর্ধমান পূর্ব লোকসভার সাংসদ ডাঃ শর্মিলা সরকার। সেইসঙ্গে এইসব মিথ্যাচার ও ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর তথ্যগুলি যে ‘ঠিক নয়’ এবং ‘আসল সত্যিটা কী’ সেটা জনগণকে বোঝানোর দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দিলেন দলের কর্মীদের। সাংসদ মনে করিয়ে দেন, ‘অপপ্রচারের মোকাবিলা করা মানে কাউন্টার করা বা অশালীন কথা বা আচরণ নয়। সেসব আমাদের দলের সংস্কৃতিও নয়।’ সাংসদের দাবি, ‘যেহেতু উচ্চ নেতৃত্ব আমাদের প্ররোচনায় পা দেওয়া বা খারাপ কথা বলতে নিষেধ করেছেন, তাই আমরা চুপচাপ আছি। কিন্তু সেটা আমাদের দুর্বলতা ভাবলে ভুল হবে।’ বলেন, ‘চুপচাপ থাকা মানে ভুল তথ্য পরিবেশন বা মিথ্যাচার মেনে নেওয়া নয়।’ কর্মীদের বলেন, ‘মানুষকে গিয়ে বুঝিয়ে বলতে হবে কোন তথ্যটা ভুয়ো। কেন ভুয়ো সেই কারণ মানুষকে বোঝানোর দায়িত্বটাও আমাদের নিতে হবে। ভুল ভাঙাতে হবে। আসল সত্যিটা মানুষকে জানাতে হবে। তাহলেই মানুষ বুঝবেন।’ এদিন আরজিকরের ঘটনাকে ‘নিন্দনীয়’ আখ্যা দিয়ে সাংসদ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি চিকিৎসকদের পাশেই আছেন।’ জানান, ‘বিষয়টি বিচারাধীন। সিবিআই ও সুপ্রিম কোর্টের অধীনে রয়েছে।’ এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার’ প্রসঙ্গ তুলে সাংসদ বলেন , ‘বিচারের জন্য কিন্তু মমতা ব্যানার্জি বিধানসভায় বিল নিয়ে এসেছেন। যাতে আমাদের রাজ্য-সহ গোটা দেশে ধর্ষণের দ্রুত বিচার হয়, কঠোর শাস্তি হয়।’ সাংসদ ছাড়াও বক্তব্য পেশ করেন পূর্বস্থলী দক্ষিণের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চ্যাটার্জি, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি রাসবিহারী হালদার প্রমুখ। মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার প্রতিবাদের কণ্ঠ মমতা ব্যানার্জি। সিপিএমের অত্যাচারে বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রতিবাদ করেছিলেন। প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি বারেবারে আক্রান্ত হয়েছেন।’
এদিকে মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রামের একতা মঞ্চে আয়োজিত তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনে ছিলেন দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, সাংসদ শর্মিলা সরকার প্রমুখ।
❤ Support Us