Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিরপেক্ষ নন মোদি, অভিযোগ রাজ্য আদিবাসী সংগঠন সভাপতির

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিরপেক্ষ নন মোদি, অভিযোগ রাজ্য আদিবাসী সংগঠন সভাপতির

প্রধানমন্ত্রী পদটিকে বিজেপির মুখপাত্রে পরিণত করেছেন নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্র সরকারের অতিথি হিসেবে দিল্লি গিয়ে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে, সংসদের ২ কক্ষে ঘুরে এমনটাই ধারণা হয়েছে তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য আদিবাসী সংগঠনের সভাপতি দেবু টুডুর। সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে দিল্লি সফর শেষ করে ফিরেছেন কালনার বাসিন্দা দেবু। দিল্লিতে তিনবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মোলাকাতের সুযোগ হয়েছিল দেবুর। তাঁর কথা বলে ও তাঁর বক্তব্য শোনার পর দেবুর দৃঢ় ধারণা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী পদের নিরপেক্ষতা মোদিজি বজায় রাখতে পারছেন না। দলের কর্মসূচির বাইরে যেতে চান না। তাঁর বক্তব্যগুলি শুনে মনে হল, তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানটিকেই সরকারি কর্মসূচিতে জুড়ে দিয়েছেন।’ বর্তমান কেন্দ্র সরকার দেশের সংবিধান বর্ণিত ‘ঐক্য, সাম্যকে সুরক্ষিত রাখতে ব্যর্থ’ বলে উপলব্ধি দেবুর। কেন্দ্র সরকারের নিমন্ত্রণে পশ্চিমবঙ্গ থেকে জনজাতি-অতিথি হিসেবে দিল্লি গিয়েছেন দেবু। সেখানে প্রজাতন্ত্র দিবসের ৭৫ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথিদের পাশে বসে কুচকাওয়াজ দেখার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলেছেন।

পশ্চিবঙ্গ-সহ দেশের সব রাজ্য থেকেই ২ জন করে আদিবাসী জনজাতি প্রতিনিধি আমন্ত্রিত ছিলেন। সেখানে অন্য রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেও দেবুর মনে হয়েছে, ‘দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় মমতা ব্যানার্জির বাংলা সবদিক থেকেই বেশ কয়েক গুন এগিয়ে।’ দিল্লিতে সরকারের ব্যবস্থাপনায় একটা সভায় বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন দেবু। ২৫ বছর ধরে রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিজ্ঞতা থেকে দেবু বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার বুনিয়াদ অনেক বেশি সমৃদ্ধিশালী। মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ উন্নয়নের নজির গড়েছে। বেড়েছে স্বনির্ভরতা ও কর্মসংস্থান। সড়ক, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সবেতেই বাংলা অগ্রণী।’ দাবি করেছেন, ‘১০০ দিনের কর্মসংস্থান প্রকল্পের মজুরি মেটায়নি কেন্দ্র। সেই টাকা মমতা ব্যানার্জি মিটিয়ে দিয়েছেন। আবাস যোজনা প্রকল্পে বারবার সমীক্ষা করলেও কেন্দ্র একটা পয়সাও দেয়নি। আর মমতা ব্যানার্জি রাজ্যের ১২ লক্ষ গরিবকে মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের ব্যবস্থা করেছেন।’ মমতা ব্যানার্জি বাংলার মহিলাদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মত বহু প্রকল্প চালু করেছেন বলে জানিয়েছেন দেবু। উচ্চকন্ঠে দাবি করেছেন, ‘আদিবাসী জনজাতিদের পিছড়ে বর্গ তকমা দেওয়ার দিন শেষ হোক। বাংলায় মমতা ব্যানার্জির সৌজন্যে আদিবাসী জনজাতি সম্প্রদায় এখন আগলে বর্গ।’ রাজ্যের ২ জন প্রতিনিধির মধ্যে তাঁকে একজন হিসেবে নির্বাচন করায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ‘প্রণাম ও কৃতজ্ঞতা’ জানালেন দেবু। দিল্লির বুকে ১২ দিনের কর্মসূচিতে যখনই সুযোগ পেয়েছেন বাংলার উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরা ও মমতা ব্যানার্জির কর্মকুশলতার প্রচার করেছেন দেবু।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!