- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- মে ১৪, ২০২৪
ধর্ম নিয়ে রাজনীতি। নির্বাচনী আদর্শ বিধি ভাঙছেন মোদি, কমিশনে চিঠি দিল তৃণমূল।শীর্ষ আদালতে খারিজ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

নির্বাচনের জন্য দেশ জুড়ে লাগু হয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি, অথচ প্রতিনিয়ত সেই নিয়মকে ভাঙছে বিজেপি। এই অভিযোগেই এবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
VIDEO | “We have sent a letter to the Election Commission mentioning how BJP and PM Modi are violating the Model Code of Conduct. We have written that PM Modi is doing politics in the name of religion and using a communal angle. Model Code of Conduct is becoming ‘Modi’ Code Of… pic.twitter.com/ilpVb9b7oA
— Press Trust of India (@PTI_News) May 14, 2024
দেশে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলই যাতে নির্বাচনে, আদর্শ আচরণ বিধি মেন চলেন, এই আর্জি জানিয়েই মঙ্গলবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল । ঘাসফুল শিবিরের তরফে, সেই চিঠিতে অভিযোগ জানানো হয়েছে, আদর্শ আচরণ বিধি ক্রমশই মোদি কোড অব কন্ডাক্টে পরিণত হচ্ছে । সেই বিষয়েই নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
এপ্রসঙ্গে নয়াদিল্লিতে, সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৃণমূলর রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ বলেন, দেশের ১৮তম লোকসবা নির্বাচনের প্রচারে ক্রমাগত ধর্ম নিয়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং তাঁর দল । সচেতন ভাবে এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করছেন, যা নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধির পরিপন্থী।
১৯৬০ সাল থেকে দেশে নির্বাচনের সময় আদর্শ আচরণ বিধি লাগু করা হয় । সাংসদ সাগরিকা ঘোষ বলেন, নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব সেই বিধি যেন নিরপেক্ষ ভাবে দেশে পালিত হয়, তা সুনিশ্চিত করা । অথচ বিরোধীদের কথায় কথায় নোটিশ পাঠানো হচ্ছে । কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদি কিংবা তাঁর দল ক্রমাগত নিয়ম ভাঙলেও সে বিষয়ে নিশ্চুপ নির্বাচন কমিশন । আদর্শ আচরণ বিধি যাতে কোনো ভাবেই মোদি কোড অব কন্ডাক্টে পরণিত না হয়, তা নিশ্চিত করার আবেদন করা হয়েছে ওই চিঠিতে।
অন্যদিকে নির্বাচনী আরচরণ বিধি ভাঙার অভিযোগে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে । সেখানে ছয় বছরের জন্য মোদিকে নির্বাসিত করারও আবেদন করা হয় । ফাতিমা নামের এক মহিলা মোদির বিরুদ্ধে এই মামলা করেন, তাঁর অভিযোগ ধর্ম এবং সাম্প্রদায়িকতাকে ইস্যু করে নির্বাচনী প্রচার করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ।
সেই মামলা আজ খারিজ হয়ে যায় দেশের শীর্ষ আদালতে । আজ বিচারক বিক্রম নাথ এবং সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয় । আদলতের তরফে বলা হয়, নির্বাচনী আদর্শ বিধি লাগু এবং তত্ত্বাবধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে আগে অভিযোগ জানাতে হবে। তারপরেই মামলাটি খারিজ হয়ে যায় শীর্ষ আদালতে ।
❤ Support Us