Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪

মৎস্যজীবীদের পাশে দাঁড়াতে লক্ষ মাছের চারা ছাড়া হল

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মৎস্যজীবীদের পাশে দাঁড়াতে লক্ষ মাছের চারা ছাড়া হল

এলাকার মৎস্যজীবীদের আর্থিক উন্নয়ন, মাছের চাহিদার পর্যাপ্ত জোগানের পাশাপাশি পূর্বস্থলী ১নং ব্লকে দেশীয় মাছ ও চুনোপুঁটি রক্ষায় কয়েক দশক ধরে সংগ্রাম চলছে। সেই সংগ্রামের শরিক হয়ে রাজ্য সরকার এই ব্লকে রাজ্যের মধ্যে প্রথম চুনোপুঁটি ও বিভিন্ন প্রকার দেশীয় মাছের সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। বিদ্যানগর গয়ারাম দাস বিদ্যামন্দিরের বড় জলাশয়ে দেশীয় মাছের সংরক্ষণ ও প্রজনন কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। এবার এলাকার মৎস্যজীবীদের আর্থিক উন্নয়নে এগিয়ে এল ‘ওয়েষ্ট বেঙ্গল ইউনির্ভাসিটি অ্যানিমাল এণ্ড ফিশারি সায়েন্সেস।’ এই সংস্থার উদ্যোগে কোবলার বাঁশদহ চাঁদের বিলে ছাড়া হল ১ লক্ষ মাছের চারা। উপস্থিত ছিল এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, ইউনিভার্সিটির সম্প্রসারণ আধিকারিক কেশব চন্দ্র ধারা, বিডিও সঞ্জয় সেনাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিকরা।
পূর্বস্থলী ১নং ব্লকে রয়েছে বাঁশদহ বিলের বিস্তীর্ণ জলাশয়। সেই জলাশয়ে মাছ চাষ করে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়ে ওঠেন এলাকার দুই শতাধিক মৎস্যজীবী পরিবার। তার উপর নির্ভর করেই চলে তাদের ভরণপোষন। এলাকার মৎস্যজীবীদের আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ করতে প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেক কিসান হাব ডিরেক্টরেট অফ রিসার্চ, এক্সটেনশন অ্যান্ড ফার্মসের উদ্যোগে বাঁশদহ বিলের জলাশয়ে ছাড়া হয় এক লক্ষ মাছের চারা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকা যাতে উন্নত হয়, এই মাছ চাষের মধ্য দিয়ে যাতে তাদের আয় বাড়ে, সেই কারণেই মাছের চারা ছাড়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমৃদ্ধ করতেই এই প্রকল্প। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথই মূলত এই উদ্যোগ নিয়েছেন। এই বছর তারা প্রথম মাছের চারা ছাড়লেও প্রতি বছর এইভাবেই তারা বিলের জলে মাছের চারা ছাড়বেন। এর ফলে গড়ে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মাছও যদি বেঁচে থাকে আর প্রতিটি মাছের ওজন যদি পাঁচশো গ্রাম বা তার বেশি হয়, তাতে মৎস্যজীবীদের আয় বাড়বে। পূর্বস্থলী ১নং ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক জানান, ‘চুনোমাছ, দেশীয় মাছ, খালবিল বাঁচাতে প্রায় আড়াই দশক ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। বাম আমলেও সাইকেলে চেপে গ্রামগ্রামান্তরেও তিনি সেই বার্তা পৌঁছে দেন। মৎস্যজীবীদের উন্নতির চেষ্টা এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তারই অঙ্গ হিসেবে বিলের জলে রুই, কাতলা, মৃগেলের মত মাছের চারাপোনা ছাড়া হল।’ তিনি আরও জানান, ‘এখানে প্রায় দুশো মৎস্যজীবী পরিবার রয়েছে। তারা এই বিলের জলে মাছ ধরে সোসাইটির মাধ্যমে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।’


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!