Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • মে ১১, ২০২৪

মোদিকে হটাতে আসরে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মোদিকে হটাতে আসরে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ

দেশের সামনে সবথেকে বড় বিপদের নাম নরেন্দ্র মোদি। সেই বিপদ থেকে দেশ ও দেশবাসীকে বাঁচাতে মমতা ব্যানার্জি, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, শরদ পাওয়ার, তেজস্বী যাদব, উদ্ধব ঠাকরেরা। গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বলে মনে করেন সমীর পূততুণ্ড। দেশের গণতন্ত্র বাঁচাতে তৈরি হয়েছে অরাজনৈতিক সংগঠন ‘দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ’। এই মঞ্চের অন্যতম মুখের পিডিএস নেতা সমীরবাবু। ‘মোদি হঠাও / দেশ বাঁচাও’ স্লোগানকে সঙ্গী করে এই মঞ্চ রাজ্যজুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে  প্রচারে নেমেছে।  ‘মোদি হটানোর লক্ষ্যে তৈরি’ এই মঞ্চের নেতৃত্বে রয়েছেন কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মননশীল মানুষজন। কাটোয়া শহরের সংহতি সভাগৃহে একটি আলোচনাচক্রের আয়োজন করে এই অরাজনৈতিক সংগঠন। ভিড়ে ঠাসা সভাকক্ষে ‘মোদির স্বৈরাচারী শাসনের’ নানা নমুনা পেশ করলেন বক্তারা। উঠে আসে বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেসের হাত ধরার কথা বলায় সৈফুদ্দিন চৌধুরি, সমীর পূততুণ্ডদের সিপিএমের ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করার প্রসঙ্গ। সমীরবাবু বলেন, ‘সেজন্য মানুষ সিপিএমকে কালো তালিকাভুক্ত করে দিয়েছে। এখন সবাই বুঝছেন, আমাদের রাজনৈতিক বক্তব্য কতটা সঠিক ছিল। বিজেপি কতখানি বিপজ্জনক। তবে আমরা কারও কাছে আত্মসমর্পণ করিনি বলে হয়ত আমাদের পার্টি বড় হয়নি। কিন্তু মুছে যায়নি।’

‘মোদি  হটাও / দেশ বাঁচাও’ স্লোগানের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সংগঠনের অন্যতম নেতা সমীর পুততুণ্ড বলেন, ‘দেশের সর্বনাশ আটকাতে বিজেপিকে হঠাতে হবে।কংগ্রেস ভুল করেছিল। সিপিএমও ভুল করেছিল।  সেজন্যই বিজেপির উত্থান হয়েছে।’ ‘সর্বনাশের উদাহরণ’ দিতে গিয়ে সমীরবাবু জানান, ‘লোকসভা ভোটে সুরাটের একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপি জিতে গিয়েছে। এতো পঞ্চায়েত ভোটে হয়।’ এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে সমীরবাবু জানান, ‘দেশজুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে পরিবর্তনের হাওয়া জোরদার হওয়ায় বিজেপি অনেক না-জানা, না-বোঝা সমস্যা তৈরি করবে। সেগুলির মোকাবিলা করার জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে। জোটবদ্ধ হতে হবে।’ তিনি যোগ করেন, ‘বিজেপি কোনও রাজনৈতিক দল নয়, এটা আসলে মোদির দল। মোদির গ্যারান্টি তকমা দিয়ে মোদির নাম নিয়ে দেশশাসন করতে চাইছে আদতে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ।’ ভোটের প্রচারে মোদি চারশ পার করার যে কথা বলছেন, তার গূঢ় রহস্যও ফাঁস করলেন গণমঞ্চের নেতারা। তাঁদের ব্যাখ্যা, দেশের সংবিধান পাল্টাতে সংসদে এক তৃতীয়াংশ সদস্য প্রয়োজন। লক্ষ্য সেটাই। সেই লক্ষ্য পূরণ হলে মোদি দেশকে  ধর্মের ভিত্তিতে  শাসন করতে পারবেন। আর এতে দেশবাসীর সর্বনাশ হবে। সেইসঙ্গে গত ১০ বছরে ‘মোদির শাসনে দেশের ও মানুষের যেসব ক্ষতি’ হয়েছে, তার খতিয়ানও পেশ করেন বক্তারা। ‘মোদিকে হটাতে দেশবাসীকে একজোট’ হওয়ারও আবেদন জানান বক্তারা।

মোদিকে হটানো হলে বিজেপি বিরোধী জোটের মুখ বা প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে সমীরবাবু বললেন, ‘আগে বিজেপি বিরোধী লড়াই আরও সংগঠিত হোক। বিজেপি পরাস্ত হোক। তারপর প্রধানমন্ত্রী ঠিক করা হবে।’ সমীরবাবুর ব্যাখ্যা, বিজেপিও ১০ বছর আগে যখন দেশের শাসনক্ষমতায় আসে, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা সহজে ঠিক করতে পারেনি। হাওয়ায় তিনটি নাম ভাসছিল। লালকৃষ্ণ আদবানি, সুষমা স্বরাজ আর নরেন্দ্র মোদি। শেষমেশ মোদিকে প্রধানমন্ত্রীর কু্র্সিতে বসানো হয়।’ সমীরবাবু ছাড়াও বক্তব্য পেশ করেন অনন্যা চক্রবর্তী, সৈকত মিত্র, সুমন ভট্টাচার্যরা। তারা জানান, ‘মোদিকে হটাতে রাজ্যজুড়ে সভা-সমিতি করে মানুষকে সচেতন করছে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ।’


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!