- দে । শ
- মে ৯, ২০২৩
পদের লোভেই সহনশীলতার কৌশল, ক্ষমতা হারালেই প্রকাশ পায় আসল চেহারা।বাঘেল মন্তব্যে বিপাকে গেরুয়া শিবির
“সহনশীল মুসলিম বলতে হাতে গোনা কয়েকজন, সমাজে মিশে থাকার জন্য তারা ভালোমানুষির মুখোশ ব্যবহার করে। তাদের এই ভালোমানুষি আসলে একটি ভনিতা, যা তাদের উপ-রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল, উপাচার্য ইত্যাদি পদে বসার সহায়ক হয়। তবে তথাকথিত এই বুদ্ধিজীবীদের স্বরূপ প্রকাশ পায় তখন যখন তাঁরা এই সব পদ থেকে অবসর নেন। কেন্দ্রীয় আইন প্রতিমন্ত্রী সত্য পাল সিং বাঘেল-এর এই মন্তব্যের পর বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোমবার দেব ঋষি নারদ পত্রকার সম্মান অনুষ্ঠানে — সাংবাদিকদের পুরস্কার প্রদানের জন্য আরএসএস-এর মিডিয়া শাখা ইন্দ্রপ্রস্থ বিশ্ব সংবাদ কেন্দ্র আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় এই মন্তব্য করেন।
এই অনুষ্ঠানে তথ্য কমিশনার উদয় মাহুরকার তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, ভারতকে অবশ্যই ইসলামিক মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে তবে “সহনশীল মুসলমানদের সাথে নিয়েই এই লড়াই করতে হবে। তথ্য কমিশনারের এই বক্তব্যের পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুসলিমদের প্রসঙ্গে তাঁর এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন।
তথ্য কমিশনার তাঁর বক্তব্যে, মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনকালে হিন্দু-মুসলিম ঐক্য গড়ে তোলার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে দাবি করেন, ছত্রপতি শিবাজি তাঁকে “ইতিবাচক আলোতে” দেখতেন । আকবর হিন্দু-মুসলিম ঐক্য তৈরির জন্য যথাসাধ্য চেষ্টাও করেছিলেন।”
তথ্য কমিশনারের এই বক্তব্যকে নস্যাৎ করে, বাঘেল আকবরের এই প্রচেষ্টাকে নিছক “কৌশল” বলে অভিহিত করেন এবং অভিযোগ করে বলেন যে যোধা বাইয়ের সাথে মুঘল সম্রাটের বিয়ে তাঁর “রাজনৈতিক কৌশল” এর অংশ ছিল। এটা তার মন থেকে আসেনি। নাহলে চিতোরগড়ের গণহত্যা ঘটত না।” তিনি আরও বলেন, “মুঘল আমলের দিকে তাকান। ওরঙ্গজেবের কাজগুলো দেখুন। মাঝে মাঝে ভাবি, আমরা কীভাবে বেঁচে গেলাম?”
বাঘেল বলেন, ভারতের খারাপ দিন শুরু হয়েছিল ১১৯২ খ্রিস্টাব্দে, যখন মুহাম্মদ ঘোরি রাজপুত রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানকে পরাজিত করেছিলেন। বাঘেল ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করে অভিযোগ করে বলেন, “গান্ডে-তাবিজ” এর মাধ্যমে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া লোকের সংখ্যা তরবারির নীচে থাকা লোকদের চেয়ে বেশি।
এর পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাঘেল বলেন, ” তবে এখনও খাজা গরীব নওয়াজ সাহেব, হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া, বা সেলিম চিস্তির দরগায় এখনও ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রচুর সংখ্যায় যান সন্তান, চাকরি, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার টিকিট, মন্ত্রী পদ, প্রতিমন্ত্রী থেকে পদোন্নতির জন্য।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা মনে করেন তারা এত দীর্ঘ সময়ের জন্য “শাসক” থাকার পর কীভাবে “প্রজা” হয়ে গেলেন। এই সমস্যার সমাধান সুশিক্ষা প্রদানের মধ্যে রয়েছে। এই সুশিক্ষা প্রদানের মধ্য দিয়েই সমস্যা সমাধানের পথ একদিন খুলবে।”
বাঘেল বলেন, “তারা যদি মাদ্রাসায় পড়ে, তাহলে তারা উর্দু, আরবি এবং ফারসি শিখবে। সমস্ত সাহিত্যই ভালো, কিন্তু এই ধরনের শিক্ষার মধ্য দিয়ে তারা পেশ-ইমাম হয়ে উঠবে। আর যদি তারা পদার্থবিদ্যা এবং রসায়ন পড়ে, তাহলে তারা আবদুল কালাম হয়ে যাবে।” .
❤ Support Us