- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ১০, ২০২৪
রেখা পাত্র, গঙ্গাধরের নামে পুলিশের এফআইআর। সন্দেশখালির ভিন্ন চহারা। ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ, সাংবাদিকদের এড়িয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ

একের পর এক ভিডিও কান্ডের পর সন্দেশখালির অন্য চেহারা। সাংবাদিকদের দেখে এড়িয়ে যাচ্ছেন মানুষ। কোথাও ছবি তুলতে গেলে বাধা। ক্যামেরার সামনে সাক্ষাৎকার দিতে তীব্র অনীহা । এমনকী বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকেও আলাদা ভাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে দিচ্ছেন না স্থানীয় বিজেপি নেতারা। অন্যদিকে ভোটের মুখে সন্দেশখালির ভিডিও কান্ডে এবার আইনি পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য পুলিশ। সন্দেশখালির ভিডিও কান্ডে নিয়ে গঙ্গাধর কয়াল, বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে সন্দেশখালি থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এফ আই আর দায়ের করেছে গঙ্গাধর কয়াল, রেখা পাত্রের বিরুদ্ধে। বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, ‘সন্দেশখালি থানায় জনৈক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে গঙ্গাধর কয়াল, রেখা পাত্র সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টা তদন্ত করে দেখছে।’ সন্দেশখালির মহিলাদের কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে এমনটাই অভিযোগ গঙ্গাধর, রেখা সহ কয়েকজেনর বিরুদ্ধে। জানা গেছে, পুলিশ সন্দেশখালির ঘটনায় মদত দেওয়ার অভিযোগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারির বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করতে চায় পুলিশ। কিন্তু আদালতের রক্ষাকবচ থাকায় বসিরহাট জেলা পুলিশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চায়। অন্যদিকে সন্দেশখালির বিজেপি কর্মী পিয়ালি ওরফে মাম্পি দাসের বিরুদ্ধে ভয় দেখিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। গত এক সপ্তাহে সন্দেশখালি নিয়ে ৩ টি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে (ভিডিও গুলির সত্যতা যাচাই করেনি ‘আরম্ভ’ ডিজিটাল ডেস্ক)। প্রথম ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে সন্দেশখালি ২ বিজেপির মন্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল বলছেন, সন্দেশখালির মহিলাদের ওপর ধর্ষণের ঘটনা সাজানো। সবটাই শুভেন্দু অধিকারির নির্দেশে হয়েছে। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। তার রেশ মিটতে না মিটতেই আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় এক প্রতিবাদী মহিলা অভিযোগ করছেন তাঁর শাশুড়িকে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের সামনে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। উঠে আসে বিজেপি কর্মী পিয়ালি ওরফে মাম্পি দাসের নাম। পিয়ালির বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ ওঠে। তারপরে তৃতীয় ভিডিওতে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী স্বয়ং রেখা পাত্র, পিয়ালি দাস, পাপিয়া দাসকে বলতে শোনা যায় রাষ্ট্রপতির দরবারে সন্দেশখালির নির্যাতিতা হিসেবে যাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাদের আসল পরিচয় কী। এদিন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রর বাড়িতে এদিন গেলে সেখানে সাংবাদিকদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রেখার বাড়ির ছবি তুলতে গেলেও আপত্তি করা হয়। বলতে গেলে রেখার সঙ্গে দেখা করতে গেলে এখন বিজেপি নেতাদের ছাড়পত্র লাগছে। পছন্দের সাংবাদিক ছাড়া রেখার ধারে কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সাংবাদিকদের সামনে মিতা মাইতিকে মুখ খুলতে দেওয়া হচ্ছে না। মিতার বাড়িতে পুলিশ পাহারা রাখা হয়েছে। এদিন সন্দেশখালির জেলিয়াখালিতে আড়াই হাজার মহিলা মিছিল করেন। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। সুকুমার বলেন, সন্দেশখালিকে কালিমালিপ্ত করেছে বিজেপি। এখন তা প্রকাশ্যে আসছে। সন্দেশখালির মানুষ বিজেপি তথা শুভেন্দু অধিকারিদের ষড়যন্ত্র ধরতে পেরে পথে নেমেছেন। এদিন মিছিল থেকে বিজেপির চক্রান্তের বিরুদ্ধে সরব হন জেলিয়াখালির মহিলারাও।
❤ Support Us