শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
বর্ধিত হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে শুক্রবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। সেই সঙ্গে কাল বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই কেন্দ্রের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ও অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিধানসভা পর্যন্ত মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। অপরদিকে, আগামীকাল অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপে ধারাবাহিক শিশুমৃত্যুর প্রেক্ষিতে রাজ্যের উদাসীনতার বিরুদ্ধে বিজেপির যুব ও মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে ‘স্বাস্থ্যভবন চলো’ অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। তিন পক্ষের এ অভিযানে আগামীকাল শহর অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যানবাহনের অপেক্ষায় নাজেহাল হতে পারেন শহরবাসী।
রাজ্য সরকার অবশ্য সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘট আটকাতে আগাম সতর্কতামূলক যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে রেখেছে। রাজ্যের সমস্ত সরকারি দফতরে জানানো হয়েছে, আগামী কাল যেন সবাই উপস্থিত থাকেন, নাহলে বেতন কাটা যাবে। বাদ যাবে কর্মজীবন থেকে একটি দিন। প্রত্যেক দফতরের বিভাগীয় প্রধানকে বলা হয়েছে, কোনো কর্মচারী অনুপস্থিত থাকলে তাঁকে যেন শোকজ করা হয়। রাজ্যের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সরকারি কার্যালয় পূর্ণ দিবস খোলা থাকবে । শাসক দলের শিক্ষক সংগঠনও ধর্মঘটকে অযৌক্তিক বলে দাবি করেছেন। সে কারণে ধর্মঘটে তাঁরা থাকছেন না। উপরন্তু ধর্মঘটকে বানচাল করতে সকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকেও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে পরীক্ষার খাতা বন্টন সহ নানা কাজে ব্যাঘাত না ঘটে তাঁর জন্য প্রধান পরীক্ষক , পরীক্ষক থেকে শুরু করে জেলা ও মহকুমা আহ্বায়ক, জেলা মনিটরিং কমিটির সদস্যদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনোমতে পরীক্ষার খাতা দেখায় কোনো ব্যাঘাত যাতে না ঘটে তা রুখতে তৎপর পর্ষদ। ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে ১০, ১১, ১২ ১৩ মার্চ নিয়ম মাফিক কাজকর্ম অব্যাহত রাখতে চান তাঁরা।
শুধুমাত্র প্রশাসনিক নয়, সাংগঠনিক ভাবেও ধর্মঘটের বিরোধিতার অবতীর্ণ হতে চায় তৃণমূল। হুগলির গোঘাট-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিজয় রায় সাতটি অঞ্চলের সভাপতি, ব্লক কমিটির সদস্য, পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান-সহ জনপ্রতিনিধিদের একটি বার্তায় জানিয়েছেন, ধর্মঘটের দিন নিজ নিজ এলাকায় স্কুল-কলেজ ও সরকারি অফিসে কর্মী-অফিসারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে তাঁদের।পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তাঁদের সদস্যরা যেন ‘কর্মনাশা’ ধর্মঘট ব্যর্থ করে বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন স্বাভাবিক রাখেন। তাঁর বক্তব্য, ‘দাবি আদায়ে বিচারাধীন বিষয়ে অনৈতিক ধর্মঘটের নামে ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ বিঘ্নিত করা চলবে না।’ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতিও ধর্মঘট ব্যর্থ করার ডাক দিয়েছেন।
তবে, বিশেষ কয়েকটি শর্তে সরকারি কর্মীদের ছুটি দিয়েছে সরকার। যেমন-
বাম ও বিজেপির মিছিল আটকাতেও প্রস্তুত পুলিশ প্রশাসন। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। মিছিল ঘিরে যাতে কোনো অশান্তি বা ঝামেলা না হয়, তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকবে। প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগে এসএফআইয়ের মিছিলকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কলেজ স্ট্রিট চত্বর সেরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে আইন অনুযায়ী উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবার যাবতীয় বন্দোবস্ত করে রেখেছেন তাঁরা।
আন্দোলনরত শিক্ষক ও সরকারি কর্মচারীরা অবশ্য এসব হুমকি কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন।তাঁদের দাবি, সরকার ও শাসকদলের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে সমস্ত স্তরের কর্মীরা ১০ মার্চের ধর্মঘট সফল করবেন। ধর্মঘটের নেতৃত্বে রয়েছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতৃত্বে যৌথ মঞ্চ এবং বিজেপি সমর্থিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী পরিষদ। তাঁদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধর্মঘটে যোগ দেওয়া কারোর বিরুদ্ধে সরকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে সব রকমের আইনি সাহায্য দেওয়া হবে। রাজ্য সরকার ও সরকারি কর্মচারীদের দ্বৈরথে আগামীকাল জন জীবন স্বাভাবিক থাকবে কিনা, নিত্যযাত্রীদের কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ের মেঘ আপাতত রয়েই গেল।
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34