- এই মুহূর্তে দে । শ
- জানুয়ারি ২৭, ২০২৪
গরু পাচার মামলার শুনানি ফেব্রুয়ারিতে। লক্ষ পাতার নথি কেষ্টকে পাঠাল সিবিআই
ফের বীরভূমের দাপুটে নেতা তৃণমূল নেতাবঅনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে শুরু হতে চলেছে গরু পাচার মামলার বিচার। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই শুরু হবে গরু পাচার মামলার শুনানি। মামলার শুনানি শুরুর আগে মামলা সংক্রান্ত একাধিক চার্জশিটের কপি, বিভিন্ন রিপোর্টের প্রতিলিপি-সহ এক লক্ষ পাতার নথি অনুব্রতের কাছে পৌঁছে দিয়েছে সিবিআই। তবে শুধু অনুব্রতই নন, গরু পাচার মামলার ১২ জন অভিযুক্তকেই এক লক্ষ পাতার নথি পাঠিয়েছে সিবিআই। মামলার বিচার পর্ব শুরু হওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই অভিযুক্তদের কাছে ওই নথি তুলে দিল সিবিআই।
গত ২২ জানুয়ারি সিবিআইয়ের আইনজীবী এসভি রাজু জানান, সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত শেষ। চার্জশিট জমা দিয়ে দেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার। বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং পঙ্কজ মিথলের বেঞ্চ ওই নির্দেশ দিয়েছিল।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রত এক বছরের বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন। ওই মামলায় চারটি চার্জশিট জমা পড়লেও এখনও বিচার পর্ব শুরু হয়নি, কারণ, তদন্ত শেষ হয়নি। অন্য দিকে, মূল অভিযুক্ত-সহ বেশ কয়েক জন জামিন পেয়ে গিয়েছেন। শুধু অনুব্রতই জামিন পাচ্ছেন না। জেলে থাকাকালীন অনুব্রতের বিরুদ্ধে বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারককে হুমকি চিঠি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল। ওই হুমকি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, অনুব্রতকে জামিন না দিলে বিচারকের পরিবারের লোকেদের মাদকের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্ট তা নিয়ে প্রশ্ন তুললে শনিবার মুকুল রোহতগি যুক্তি দেন, বর্ধমান আদালতের কর্মী বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নামে ওই চিঠি পাঠানো হয়। ব্যক্তিগত রেষারেষির জেরে আইনজীবী সুদীপ্ত রায় বাপ্পার নামে সেই চিঠিটি পাঠিয়েছেন। তার সঙ্গে অনুব্রতর কোনও সম্পর্ক নেই। তারপরেই সুদীপ্তকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে প্রথমে সিবিআই গ্রেফতার করে আসানসোল সংশোধনাগারে রেখেছিল। পরে তাঁকে তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই থেকে তিহাড়েই বন্দি অনুব্রত। পরে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু অনুব্রত মামলার ট্রায়াল কিছুতেই শুরু হচ্ছিল না। এর মধ্যে বেশ কয়েক বার কেষ্ট জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রত্যেক বারই জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায়া। তাই বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা নিয়ে অনুব্রতের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। অন্য দিকে, ইডির আইনজীবী এসভি রাজু সুপ্রিম কোর্টে অনুব্রতের জামিনের আর্জির বিরোধিতা করেন। তিনি সওয়ালে জানান, অনুব্রতই মূল অভিযুক্ত। জামিন পেলে তিনি সাক্ষ্য প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন। অনুব্রত মণ্ডলের মামলা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে চলছে।
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে গরু পাচার মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর কথা। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ত্রিবেদী এবং বিচারপতি মিথলের বেঞ্চ ওই নির্দেশ দেয়।
❤ Support Us