- এই মুহূর্তে দে । শ
- সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩
সংখ্যালঘু পড়ুয়াকে সংখ্যাগুরু সহপাঠীদের দিয়ে চড় মারার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার যোগীরাজ্যের সেই শিক্ষিকা
গত অগাস্ট মাসে উত্তরপ্রদেশে এক মুসলিম পড়ুয়াকে শাস্তি দিতে ক্লাসের সহপাঠীদের তাকে থাপ্পড় মারার নির্দেশ দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের এক স্কুল শিক্ষিকা। এবার সেই শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল যোগিরাজ্যের পুলিশ। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, যোগীর রাজত্বে এবার কী উলটো উলটপুরাণ শুরু হল?
উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর পঞ্চম শ্রেণির এক পড়ুয়া শিক্ষিকার করা প্রশ্নের ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারেনি। এরপরই তিনি রেগে গিয়ে সেই মুসলিম ছাত্রকে চড় মারার নির্দেশ দেন ক্লাসেরই এক একাধিক হিন্দু পড়ুয়াকে। ঘটনার পরে অবসাদে ভুগতে শুরু করে ওই নিগৃহীত পড়ুয়া। দেখা যায় নিজেকে ঘরবন্দি করে রাখছে সে। পরে তার বাবা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ১১ বছরের ছেলেটি সব খুলে বলে। এরপরই বৃহস্পতিবার ছাত্রটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় ওই শিক্ষিকাকে। স্কুল কর্তৃপক্ষও তাঁকে সাসপেন্ড করেছে। গত মাসে মুজফফরনগরেরই এক বেসরকারি স্কুলে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, স্কুলে এক মুসলিম পড়ুয়াকে শিক্ষিকা নামতা বলতে বলে সে বলতে না পারলে ওই শিক্ষিকা ক্লাসের অন্য পড়ুয়াদের নির্দেশ দেন, সহপাঠীরাই ওই মুসলিম পড়ুয়াকে মারধর করবে। এর পর অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। শিক্ষিকা তখন বলেন, তাঁর সামনে এই ঘটনা ঘটলেও তিনি পড়ুয়াদের ক্লাসে চাপে রাখতেই শাস্তি দেন, এটা অভিভাবকদের পরামর্শেই করা হয়ে তিহাকে।
ছাত্রের বাবা তাঁর অভিযোগে বলেছিলেন, জাতিগত কারণে তাঁর সন্তান স্কুলের শিক্ষিকার নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তবে এই অভিযোগ নির্যাতিত ছাত্রের বাবা আদালতে অভিযোগ করার সময় করেননি। এই নিয়ে আদালতে এই মামলায় শুনানির সময় বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন। আদালত বলে, উত্তরপ্রদেশের সরকারের কাছে এই ধরণের ঘটনা একটা গলা ধাক্কা স্বরূপ। আদালত বলে, পিছিয়ে পড়া মানুষদের জাতি,ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে শিক্ষা দেওয়ার কথা রাজ্য প্রশাসনের। এটাই আইন।
❤ Support Us