- দে । শ
- ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩
আগরতলার জনসভায় ডবল ইঞ্জিন সরকার উৎখাতের ডাক মমতার। আসন্ন নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে নির্ভরযোগ্য দল তৃণমূলই। দাবি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর

আসন্ন ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে মরিয়া তৃণমূল।দুদিনের ত্রিপুরা সফরে মিলল তারই ইঙ্গিত। মঙ্গলবার আগরতলায় রোড শো তে দলের সর্বোচ্চ নেত্রীর দাবি, একমাত্র তাঁর দলই পারে রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন বিজেপি সরকারকে উৎখাত করতে।
আগামী মাসে শুরু হচ্ছে ত্রিপুরার মসনদ দখলের লড়াই। প্রচার যুদ্ধে নেমেছে ডান-বাম উভয়পক্ষই। পিছিয়ে নেই ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল কংগ্রেস শীর্ষ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার দুদিনের জন্য ত্রিপুরা সফরে যান। সঙ্গে ছিলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ছিল আগরতলায় রোড শো। সেখান থেকেই বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। শত শত মানুষের জন সমাবেশে তাঁর দাবি, বিজেপি আমলে ত্রিপুরার গণতন্ত্র বিপন্ন। কোনো রাজনৈতিক দলের সভা-সমিতি করবার অধিকার নেই। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করতে পারেন না। এ প্রসঙ্গে দু’বছর আগে দলের প্রচারে এসে দলীয় কর্মীদের ওপর বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের উৎপীড়নের কথা উল্লেখ করেন তিনি। সেই ঘটনায় তাঁর পার্টির বহু সহযোদ্ধাকেও বেআইনীভাবে গ্রেফতার করে বিজেপি সরকারের পুলিশ। বিজেপি যে দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ তাঁর সবথেকে বড় প্রমাণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন দেশের সর্বোচ্চ বেকারত্বের হারকে। জনসভায় তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার আগে ১৫ লক্ষ টাকা করে প্রত্যেককে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মোদি সরকার। কিন্তু সেই কথা রাখার ব্যাপারে তাদের আন্তরিকতা কতটা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারে তৃণমূল যে একমাত্র নির্ভরযোগ্য দল মঙ্গলবার সেটাই তুলে ধরেন ‘বাংলার অগ্নিকন্যা’।
শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দল বিজেপি নয়, মমতার নিশানায় বাম-কংগ্রেসও। সিপিএম-কংগ্রেস জোট গড়ে আসন্ন নির্বাচনে বিশেষ কোনো সুবিধা করতে পারবে না-এদিনের জনসভায় তা জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে বাংলার নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এই দু দলকে বিদায় করেছে সাধারণ মানুষ। ত্রিপুরাতেও তাঁর ব্যতিক্রম হবে না। দেশের সবথেকে প্রাচীন দলকে তিনি বিজেপির বি টিম হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেসের এমন অবস্থা হবে জানলে হয়তো তিনি কংগ্রেস ছাড়তেন না। জনসভায় মমতা আরও বলেন, নির্বাচনে একাই লড়বে তাঁর দল। একা লড়েই বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করবার ক্ষমতা ঘাসফুল শিবিরের রয়েছে।
ত্রিপুরা ও বাংলার মধ্য ভাষা ও সংস্কৃতির ব্যাপারে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। তাঁর দল সুযোগ পেলে ত্রিপুরার মানুষের জনকল্যাণের জন্য কাজ করবেন বলে জনসভায় জানিয়েছেন তিনি। নির্বাচনে সাফল্য লাভ করলে আগামী দিনে বহু জনমোহিনী প্রকল্প ত্রিপুরাবাসীর জন্য আনতে পারে ঘাসফুল শিবির। এদিনের মমতার বক্তব্যে পাওয়া গেল তারই প্রতিধ্বনি।
❤ Support Us