Advertisement
  • দে । শ
  • এপ্রিল ৫, ২০২৩

বাইডেন প্রশাসন ও মার্কিন বিচারব্যবস্থাকে কটাক্ষ ট্রাম্পের, সমর্থকদের কাছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির দাবি, তিনি নির্দোষ, যৌনকীর্তি-সহ সবকটি মামলাই ভুয়ো

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বাইডেন প্রশাসন ও মার্কিন বিচারব্যবস্থাকে কটাক্ষ ট্রাম্পের, সমর্থকদের কাছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির দাবি, তিনি নির্দোষ, যৌনকীর্তি-সহ সবকটি মামলাই ভুয়ো

২০২৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রত্যাবর্তন করবেন বলে দাবি করছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বেশ কিছুদিন ধরেই একথা ঘোষণা করে আসছেন। আদালতে আত্মসমর্পণের পরে  ট্রাম্প নিউইয়র্ক পুলিশ সরকারিভাবে তাঁকে  গ্রেফতার করেছে । তাঁর বিরুদ্ধে ৩৪ দফায় মামলা দায়ের হয়েছে ।

ব্যবসায়িক নথিপত্র জালিয়াতি করা থেকে শুরু করে যৌনকীর্তিতে অভিযুক্ত ট্রাম্প ধরা দিলেও মচকাননি। তাঁর দাবি, কোনো বেআইনি কাজ তিনি করেননি। রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য এগুলো ঘটানো হচ্ছে, যাতে ২০২৪ সালের নির্বাচনে তাঁকে প্রতিহত করা যায়। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির আইনজীবীরা আদালতে জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল  সম্পূর্ণ নির্দোষ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সঙ্গে ট্রাম্পের বিরোধ আরও তীব্র হল। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বলেছেন, আমেরিকা জাহান্নমে যাচ্ছে। দেশের বিচারব্যবস্থাই বিচারহীন বলে তিনি মন্তব্য  করেছেন।

ট্রাম্প সমর্থকরা অবশ্য  ভেঙে পড়েননি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাসভবনের সামনে  জমায়েত হওয়া  সমর্থকরা হাততালি দিয়ে ট্রাম্পকে সংবর্ধিত করেছেন। ট্রাম্প সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছেন, আমেরিকায় এমন কিছু ঘটতে পারে তা নিজেই আশা করিনি। দেশরক্ষার জন্যে নির্ভীক এবং দায়বদ্ধতা বজায় রেখে অপরাধ করেছি। কার্যত, ট্রাম্প তাঁর বিরুদ্ধে যে ৩৪ দফা মামলা দায়ের হয়েছে, সেগুলির সবকটিই উড়িয়ে দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, সব কটি মামলাই ভুয়ো। তাঁকে মিথ্যা মামলায় রাজনৈতিক কারণে ফাঁসানো হয়েছে।

প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে আদালত অভিযুক্ত করায়  ২০২৪ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে ট্রাম্পের প্রার্থী হওয়া প্রশ্নচিহ্নের সম্মুখীন হল। এ ব্যাপারে তিনি  সরাসরি বাইডেন  প্রশাসনকে দুষছেন। অভিযোগ করেছেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। ভোটের  আগে তাঁকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা চলছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধ্ দায়ের হওয়া মামলাগুলির মধ্যে রয়েছে যৌন কেলেঙ্কারি। এছাড়া রয়েছে,  আর্থিক দুর্নীতিসহ  নানাবিধ বেআইনি কাজের অভিযোগ।  যেমন, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে নিজের যৌনকীর্তির রিপোর্ট প্রকাশ রুখতে মোটা  অঙ্কের ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

মার্কিন যুক্তরাষ্টে্র রাজনৈতিক ইতিহাসে ট্রাম্পের আগে কোনও প্রেসিডেন্ট অথবা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হননি। ট্রাম্পকে বিচারক বলেছেন, তিনি যে এমন ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন, যা হিংসা ছড়াবে ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে। তাই বাইডেনের নাম নিজের ভাষণে উল্লেখ করেননি।

দীর্ঘসময় পরে ট্রাম্প কোনও মার্কিন আদালতে উপস্থিত হলেন।  আইনজীবীদের পরামর্শে দীর্ঘদিন আদালতে আসেননি।  বলেছিলেন, নিরাপত্তাজনিত অসুবিধা রয়েছে।  আদালতে সশরীরে দেখা দিলেও তিনি  কোনো  কথা বলেননি সাংবাদিকদের সঙ্গে। মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!