- ভা | ই | রা | ল
- ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
তুরস্কে নারীসঙ্গ বিলাসী ধর্মগুরুকে ১০৭৫ বছরের সাজা ।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের একটি আদালত আদনান ওকতার নামে এক ব্যক্তিকে ১০টি অপরাধের জন্য ১০৭৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। ২০১৮ দেশেজুড়ে অভিযান চালিয়ে ওকতারের কয়েক ডজন সাগরেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আদনান ওকতারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সে একজন উগ্রপন্থী । মহিলাদের ‘বিড়াল’ বলে ডাকত । নানা অজুহাতে তাঁদের যৌন নিষ্পেষণ করত ।
ডেইলি মেইলের পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুষ্কূতীদের নিয়ে দল গঠন, নাবালিকাদের যৌন নিগ্রহসহ বহু অপরাধের জন্য তাকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে । এখন নিষ্পেষিত মেয়েরাই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন । অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁরা ভয়ংকর নির্যাতনের শিকার। একজন অভিযোগ, তাঁকে ১৬ বছর বয়সে যৌন নির্যাতন করে ওকতার। ২০ বছর বয়সে তাঁকে অজ্ঞান না করেই রাইনোপ্লাস্টি করতে বাধ্য করে । ওই অপারেশনে তিনি গুরুতর আহত হন ।
যৌন অপরাধ, নাবালিকাদের যৌন নির্যাতন, প্রতারণা এবং রাজনৈতিক ও সামরিক বিভাগে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে ওই ধর্মগুরু সহ ৭৮ জনকে গ্রেফতার করা হয় । মামালা হয়েছে ২৩৬ জনের বিরুদ্ধে।
ওকতার গত ডিসেম্বরে বিচারককে জানায়, তার প্রায় এক হাজার বান্ধবী রয়েছে। অক্টোবরে আরেকটি শুনানিতে তিনি বলেছিলেন, আমার হৃদয় নারীদের ভালবাসায় প্লাবিত । ভালবাসা একটি মানবিক গুণ। ওকতার অন্য একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, তিনি অসাধারণ শক্তিশালী।পুলিশ তার বাড়ি থেকে ৬৯ হাজার গর্ভনিয়ন্ত্রক পিল বাজেয়াপ্ত করেছে। ওকতার বলেছে, সেগুলো চর্মরোগ ও মহিলাদের মাসিকের অনিয়মের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হত। ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বকে প্রত্যাখ্যান করে ওখতার ‘দ্য এটলাস অফ ক্রিয়েশন’ নামে ৭৭০ পৃষ্ঠার একটি বই লিখেছিল। তাকে ধর্ষণ, শিশু নির্যাতন, গুপ্তচরবৃত্তি এবং ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে ১০৭৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে । ৬৪ বছর বয়সী ওকতার সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তুরস্কে ভণ্ড ধর্মগুরুর এরকম সাজা এই প্রথম । আয়ুর চেয়ে অনেক বেশি কারাদণ্ড প্রাপ্তির দৃষ্টান্তও নজিরহীন । দীর্ঘদিন বেঁচে থাকলে বড় জোর ১০০ বছর কিন্তু কারাদণ্ডে ১০০০ বছররে অধিক । বিস্ময়কর ঘটনা।
বিবিসির খবর, তুরস্কের বিতর্কিত ইসলামিক প্রচারক ও বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থের লেখক আদনান ওকতার ওরফে হারুন ইয়াহিয়া টিভিতে ইসলামিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন । বিভিন্ন টক শোয়ে অংশ নিতেন । আর সেই সব আলোচনার ফাঁকে স্বল্প পোশাক পরিহিত সুন্দরী মহিলাদের সঙ্গে নাচতেন সবার সামনে । এসব মহিলাকে আদর করে ‘বিড়ালছানা’ বলেও ডাকতেন।
❤ Support Us