- দে । শ
- ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩
তুরস্ক ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে উদ্ধার ৮০০০-এর বেশি মানুষ। সঙ্কটে সহায় বন্ধুদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন এরদোগানের
সাতকোটি মূল্যের ত্রাণ সামগ্রী প্রেরণ, দাবি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যর

তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পে মৃতদেহের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার হার অব্যাহত। ধ্বংসস্তূপের তলায় এখনও চাপা পড়ে রয়েছেন একাধিক অসহায় মানুষ। ক্ষীণতর হচ্ছে বাঁচবার আশা। উদ্ধারকার্য চালাচ্ছেন সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের আধিকারিকরা। সংবাদ সংস্থার খবর, ৮০০০-এর বেশি মানুষকে উদ্ধার করা গিয়েছে। নিহতের সংখ্যা ৩৭০০০-এর অধিক। যার মধ্যে তুরস্কে ৩১,৬৪৩ এবং সিরিয়ায় ৫,৭১৪।
তুরস্কের রাষ্ট্রপতি তসিয়েপ এরদোগান জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে সারা দেশে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। প্রত্যেকের উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে সরকার। হাসপাতালে উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা যাতে তাঁরা পান, সে ব্যাপারে উদ্যোগী প্রশাসন। ইতিমধ্যেই আহতদের মধ্যে ৮১০০০ আহত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে ভারত সহ বিশ্বের একাধিক দেশ। এখনও পর্যন্ত ভারত থেকে সাত কোটি টাকার ওষুধ ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায়। সাহায্যকারী দেশগুলোকে দুর্দিনে পাশে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়্েছেন এরদোগান।
জাতিপুঞ্জের ত্রাণ ও সাহায্য বিভাগের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথ জানাচ্ছেন, উদ্ধার কার্য শেষের দিকে। মাইনাস ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে। ফলে উদ্ধারকার্য চালাতে সমস্যা হচ্ছে। আলেপ্পো শহরে দাঁড়িয়ে তিনি জানিয়েছেন, যাঁদেরকে বাচানো সম্ভব হচ্ছে তাঁদের চিকিৎসা, খাদ্য , আশ্রয়, মানসিক সুস্থতার দিকে নজর দিতে হবে।
গত সপ্তাহে, সোমবারের ৭.৮ ও ৫.৫ মাত্রার পর পর ভূমিকম্পে অভূতপূর্ব বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় তুরস্ক -সিরিয়া। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গত দুদশকে যতগুলো ভূমিকম্প হয়েছে, মৃতের সংখ্যার নিরিখে তুরস্ক-সিরিয়ার ভূ-বিপর্যয়ের স্থান থাকবে পাঁচে। তুরস্কে সোমবার থেকে উদ্ধার কার্য বন্ধ রেখেছে জার্মানি। ফিরে গিয়েছে ইজরায়েলও। তবে অন্যান্য দেশ অব্যাহত রেখেছে বিপন্ন অসহায় মানুষকে বাঁচানোর কাজ। স্নিফার ডগ ও থার্মাল ক্যামেরা ব্যবহার করেও পরিস্থিতি সামলাতে পারছেন না উদ্ধারকারীরা। তাঁদের দাবি, দরকার আরও আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সেন্সরের। অনেক জায়গায়, উন্নত সরঞ্জামের অভাবে ধ্বংসস্তূপ সরাতে শাবল-গাঁইতি ব্যবহার করছেন উদ্ধারকারীরা।স্থাণীয় সংবাদ সূত্রে খবর, সিরিয়ায় এধরনের সম্মুখীন বেশি হতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। এখনও বহু জায়গায় ত্রাণসামগ্রী নিয়ে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ৬৪০০০-এর বেশি ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন ছিন্নমূল বহু মানুষ। অপেক্ষা সাহায্যের আশায়।
❤ Support Us