- প্রচ্ছদ রচনা স | হ | জ | পা | ঠ
- জুন ২১, ২০২৪
সহজভচাবে ‘পাই’-এর নতুন ‘রেসিপি’ দিলেন দুই বাঙালি গবেষক

ইউক্লিডীয় জ্যামিতিতে বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাত নির্ণয়ের ধ্রুবক হল ‘পাই।’ এই ধ্রুবক নিয়ে গবেষণা কেবল মাত্র ইউক্লিডের দেশ গ্রিসে হয়েছে এমন নয়। এর অংশীদার ছিল ভারত, মিশরের মতো দেশগুলিও। প্রাচীন বৈদিক সাহিত্য শতপথ ব্রাহ্মণে পাইয়ের উল্লেখ আছে। তারপর যুগ যুগ ধরে আর্কিমিডিস, জু চোঙ্গজি , লিনডেম্যান , মেরি কার্টরাইট প্রমুখের গবেষণায় একাধিকবার একাধিক তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে।তবে আপাত সর্বশেষ গবেষণায় উল্লেখযোগ্য নজির রাখলেন দুই বঙ্গ সন্তান ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের (আইআইএসসি) পদার্থবিদ অর্ণব সাহা ও অনিন্দ্য সিনহা। অর্ণব সাহা ‘সেন্টার ফর হাই এনার্জি ফিজিক্স’-র অধ্যাপক। অনিন্দ্য সিনহা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট। দুই গবেষকের দাবি আপাতত রোজকার জীবনে এই ফর্মুলার খুব একটা প্রভাব না পড়লেও ,ভবিষ্যতে এই ফর্মুলা ছাড়া হয়ত জীবন অচল হয়ে পড়বে।
যদিও দুই বিজ্ঞানির গবেষণার বিষয় মোটেও ‘পাই’ ছিলনা।তাঁরা দুজন কোয়ান্টাম থিওরিতে কণা পদার্থবিজ্ঞানের প্রভাব নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন । গবেষণার জন্য নতুন নিখুঁত মডেল তৈরি করতে গিয়ে নতুন একটি দিগন্তের সন্ধান পান তাঁরা ।
দুই বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, ‘পাই’ খাবারের পদ হলে , তার সিরিজ হল ‘রেসিপি।’ ‘পাই’-কে সংখ্যার কম্বিনেশন রূপে ব্যবহার করা যেতে পারে। তাঁদের মতে পাই-এর সঠিক মান খুঁজে বের করা খুব কঠিন। সেক্ষেত্রে তাঁদের আবিষ্কৃত এই ফর্মুলার ফলে দ্রুত পাইয়ের মান নির্ণয় সহজ হবে।
অনিন্দ্য বাবু জানিয়েছেন, সঠিক পন্থা না মেলার জন্য এতদিন পাইয়ের সঠিক ও সহজ ফর্মুলা পাওয়া যায়নি। এটা তাঁদের গত তিন বছরের কঠোর গবেষণার ফসল।তিনি জানিয়েছেন ‘সত্তরের দশকের গোড়ার দিকে কিছুটা সময়ের জন্য এই ধাঁচে গবেষণার বিষয়টি খতিয়ে দেখেছিলেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু বিষয়টা বড্ড জটিল হওয়ায় সেটা দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।’
তাঁদের এই কৃতিত্বের জন্য অনিন্দ্য বাবু জানিয়েছেন, ‘দৈনন্দিন জীবনে হয়ত এখনই কোনও প্রভাব দেখা যাবে না। কিন্তু এরকম কাজ করে খুব তৃপ্তি পাওয়া যায়।’
❤ Support Us