Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • মার্চ ৯, ২০২৩

জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় মহানগরে আরো দুই শিশুর মৃত্যু, জেলায় ১।

পর পর শিশুমৃত্যুকে ঘিরে বিধানসভা ভবনের বাইরে বিজেপির বিক্ষোভ, মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি শুভেন্দুর

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় মহানগরে আরো দুই শিশুর মৃত্যু, জেলায় ১।

চিত্র : সংবাদ সংস্থা

জ্বর ও শ্বাস জনিত সমস্যার কারণে মহানগরে আরো দুই শিশুর প্রাণ গেল। দুজনের  মধ্যে একজন ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজে বুধবার  রাতে  মারা যায়,  অপরজন  বৃহস্পতিবার  সকালে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে । মৃত্যুর কারণ নিয়ে  চিকিৎসকদের  মধ্যে সংশয় রয়েছে । মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, সম্পূর্ণ বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। 

 

সংবাদ সংস্থার খবর,  বুধবার রাত ৯ টা ৪৫ নাগাদ   যে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে, তাঁর বাড়ি ফুলিয়ায়। ১৪ মাস বয়সী শিশুটিকে কৃষ্ণনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল । পরে সেখান থেকে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে  রেফার করা হয়। তার নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ ছিল। অপদিকে, বিসি রায় হাসপাতালে রাজারহাটের যে শিশু মারা গেছে, তারও জ্বর ও সর্দিকাশির সমস্যা ছিল। শিশুটির বয়স  ৯ মাস । দুই শিশুর মৃত্যুর কারণ অ্যাডিনো ভাইরাস কিনা তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সমস্ত  তথ্য  মেডিক্যাল বুলেটিনে পেশ করবে কর্তৃপক্ষ। 

 

একই ঘটনা ঘটেছে হুগলিতেও। চুঁচুড়ার  ছয় মাস বয়সী  এক শিশু জ্বর  ও শ্বাস কষ্টের সমস্যা নিয়ে জেলার ইমামবারা হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে তাঁকে  আরো ভালো চিকিৎসার জন্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয় । কিন্তু  বুধবার তাঁর মৃত্যু  হয়েছে। বাচ্চার বাবার কথায়, জেলা হাসপাতাল থেকে কলকাতায় আনতে দেরি হইয়ে যাওয়ায় শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। 

 

রাজ্যের   হাসপাতালগুলোতে একের পর এক  শিশুমৃত্যু নিয়ে তুঙ্গে তৃণমূল-বিজেপি রাজনৈতিক তরজা। বৃহস্পতিবার  বিধানসভায় এ ব্যাপারে  রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের বিবৃতি দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু  অধিকারী ।  স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা জানান, মুখ্যমন্ত্রী আগে এ ব্যাপারে নিজের বক্তব্য রেখেছেন। কিন্তু তারপরে বিজেপি বিধায়করা বারংবার প্রশ্ন করতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির পরেও রাজ্যে একের পর এক শিশুমৃত্যুর ঘটনা  ঘটছে কেন ? বিধানসভার অধিবেশনে মুলতুবি হয়ে যাওয়ার  পর ভবনের বাইরে এসে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু অধিকারী। 

 

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে  কলকাতার   বিসি রায়,  কলকাতা মেডিক্যাল-সহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালে একাধিক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যেক শিশুর শরীরে ছিল জ্বর ও শ্বাস জনিত সমস্যার উপসর্গ।  চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুমৃত্যুর কারণ প্রত্যেক ক্ষেত্রে অ্যাডিনো ভাইরাস নয়। কয়েকদিন আগে রাজ্যের  মুখ্যমন্ত্রী এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।  চিকিৎসকরা  বাচ্চা ও তাদের অভিভাবকদের  সতর্ক হতে বলেছিলেন। তাঁদের পরামর্শ, যে সমস্ত শিশু সংক্রমিত হওয়ার পর সেরে উঠেছে, আগামী এক বছর তাদের খুব সাবধানে রাখতে হবে।  সংক্রমণের কারণে আক্রান্ত  শিশুদের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অসাবধান হলে আবার সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর এক্স-রে করে ফুসফুসের অবস্থা পরীক্ষা করতে হবে।ছোটোদের তো  বটেই, বড়োদেরও মাস্ক পরবার  ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা।  আক্রান্তদের আন্টিবায়োটিকের পরিবর্তে প্যারাসিটেমল ও প্রচুর জল পান করবার কথা উল্লেখ করেছেন  ডাক্তাররা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সচেতনতাই পারে কঠিন এ অসুখ থেকে মানুষকে দূরে রাখতে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!