- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- জানুয়ারি ৯, ২০২৪
ছোটদের ডার্বিতে প্রাধান্য রেখেও জয় এল না ইস্টবেঙ্গলের
গ্যালারিতে দুই দলের সমর্থকরা হাজির। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে থেকেই মোহনবাগান–ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের নানারকম স্লোগান। ছোটদের ডার্বিতেও গ্যালারিতে দারুণ উত্তেজনা। অথচ মাঠে সেই উত্তেজনার কোনও রেশ নেই। দুই দলের খেলায় তেমন কোনও ঝাঁঝ ছিল না। যদিও দাপট ইস্টবেঙ্গলেরই বেশি ছিল। প্রাধান্য রেখেও জয় এল না লালহলুদের। অনূর্ধ্ব ১৭ যুব লিগে মরশুমের ছোটদের দ্বিতীয় ডার্বি গোলশূন্য ভাবে শেষ হল।
প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকারে মোহনবাগানকে ৪–০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ওই ম্যাচ হারার পর ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ এনেছিল মোহনবাগান। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কাছে অভিযোগপত্রও জমা দেয়। বিতর্কের মুখে পড়ে ৫ ফুটবলারকে পরের ম্যাচগুলিতে আর খেলায়নি ইস্টবেঙ্গল। ওই ৫ ফুটবলার না থাকায় প্রথম ডার্বির মতো দাপট দেখাতে পারেনি লালহলুদ।
যদিও এদিন ইস্টবেঙ্গলের প্রাধান্যই বেশি ছিল। গোলের একাধিক সুযোগও তৈরি করেছিল। কাজে লাগাতে পারেনি। এদিন শুরুতেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। দেবজিত রায়ের শট আটকে দেন মোহনবাগান গোলকিপার নন্দন রায়। ২০ মিনিটে গোপাল দাসের খুব কাছ থেকে নেওয়া শট আবার অনবদ্য সেভ করে বাগান গোলকিপার। পরের মিনিটেই কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে প্রজ্জ্বল সাহার হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৪২ মিনিট ২৫ গজ দূর থেকে গুনরাজ সিংয়ের নেওয়া ফ্রিকিক দেওয়ালে লেগে ফিরে আসে। পরের মিনিটেই দীপু সর্দারের শট অল্পের জন্য বাইরে যায়। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে মোহনবাগানের প্রথম আক্রমণ। দেব মালের সেন্টার থেকে প্রীতম গায়েনের হেড সরাসরি ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার দীপ বর্মনের হাতে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা খেলায় ফেরে মোহনবাগান। ৪৮ মিনিটে কেশব খাটিকের শট দারুণভাবে প্রতিহত করেন ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার দীপ বর্মন। ৫৮ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের দেবজিত রায় সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। ৮৩ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের গুনরাজ সিংয়ের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট। ৭ ম্যাচে দুই দলেরই পয়েন্ট ১৬। গোল পার্থক্যে লিগ টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ভাল খেলেও জয় না পাওয়া হতাশ ইস্টবেঙ্গল কোচ বরুন সেনগুপ্ত।
❤ Support Us