Advertisement
  • ন | গ | র | কা | হ | ন
  • ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩

নাম ও প্রতীক হীন উদ্ধবের ভাবনায় সুপ্রিম কোর্ট। নতুন চিহ্নে শুরুর পরামর্শ শরদের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
নাম ও প্রতীক হীন উদ্ধবের ভাবনায় সুপ্রিম কোর্ট। নতুন চিহ্নে শুরুর পরামর্শ শরদের

দলের নাম ও প্রতীক হারালেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। শুক্রবার ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, দলীয় প্রতীক তীর-ধনুক ও ‘শিবসেনা’ নাম ব্যবহার করার অধিকারী একমাত্র একনাথ শিণ্ডে শিবির। বাবা বাল ঠাকরের তৈরি দলের উত্তরাধিকার হারিয়ে ক্ষুব্ধ উদ্ধব জানালেন, দলীয় প্রতীক ফিরে পেতে সুপ্রীম কোর্টে লড়াই চালিয়ে যাবেন তাঁরা।

দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে বিধানসভায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে আট মাস আগে মুখ্যমন্ত্রীত্ব হারিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। তারপর থেকে শুরু হয় শিবসেনার নাম ও প্রতীক ব্যবহারের অধিকার নিয়ে উদ্ধব ও একনাথ শিবিরের বিরোধ। দু পক্ষই নিজেদের প্রকৃত শিবসেনা বলে দাবি করে। দুই গোষ্ঠীর লড়াই নির্বাচন কমিশন হয়ে শেষ পর্যন্ত আদালত অবধি গড়ায়। শুক্রবার কমিশন একনাথ শিবিরের পক্ষে তাদের বক্তব্য রাখে। তাঁরা জানায়, একনাথ শিবিরে এবার থেকে শিবসেনা নামটি ব্যবহার করতে পারবে। অন্যদিকে, উদ্ধব গোষ্ঠীর নাম হবে শিবসেনা উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে। প্রতীক হবে জ্বলন্ত মশাল।

কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শিবসেনার বর্তমান গঠনতন্ত্র অগণতান্ত্রিক। কোনও নির্বাচন হয় না। একটি গোষ্ঠীর লোকদের পদাধিকার বলে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, নিজের আস্থাভাজনদের নেতা পদে নিয়োগ করেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। নির্বাচন কমিশন সেই নিয়োগকে বেআইনি আখ্যা দেয়। উল্লেখ্য, কমিশনের চাপে ১৯৯৯ সালে দলের গঠনতন্ত্রে সংশোধনী এনেছিলেন প্রয়াত বাল ঠাকরে। পরে ২০১৮ সালে তা বাতিল করা হয়। পরিবর্তে আনা হয় নতুন সংবিধান। যা নির্বাচন কমিশনকে না জানিয়ে করা হয়েছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় প্রতীক ও নামের  মালিকানা বদলের  সিদ্ধান্ত জানায় কমিশন।

কমিশনের পদক্ষেপের সমালোচনায় সরব হয়েছেন উদ্ধব। গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত । এপ্রসঙ্গে, উদ্ধব আরো জানিয়েছেন, যে ১৬ জন বিধায়ক দল বদল করে একনাথ শিণ্ডের শিবিরে গিয়েছিলেন, তাদের সদস্য পদ খারিজের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার যৌক্তিকতা কতটা, তা নিয়ে প্রশ্ন তলেছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীকেও বিদ্ধ করেছেন সমালোচনায়। নরেন্দ্র মোদির প্রতি তাঁর মন্তব্য , দিল্লির লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করুন যে দেশে গণতন্ত্র মৃত। এবার একনায়কতন্ত্র চলবে। প্রঙ্গগত, গত বছর বিজেপির বিধায়ক কেনাবেচার রাজনীতির পরিণতিতে ক্ষমতা হারিয়েছিলেন উদ্ধব। একনাথ শিণ্ডে শিবিরের বিরুদ্ধেও নিজের ক্ষোভ উগড়ে দন তিনি। তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন যে আসল শিবসেনা তাঁরাই। একনাথ শিণ্ডে দলের প্রতীক চুরি করে ইতিহাসের ধারা বদলাতে পারবে না। তাঁর দাবি, প্রতীক ও দল তাঁদের অধিকারেই আছে। খাতায় -কলমে সে অধিকার আদায়ের জন্য শীর্ষ আদালতে লড়াই চলবে। দলীয় সহকর্মী সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, আইনী পথে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের মোকাবিলা করা হবে।

অন্যদিকে, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন, দলীয় প্রতীক হারানোর দুঃখ ভুলে উদ্ধব থাকরের নতুন করে লড়াই শুরু করা উচিত। তাঁর ধারণা, দল নাম ও প্রতীক হারালেও জন সমর্থনের ভিত্তিতে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। মানুষ কয়েকদিন আলোচনা করবে তারপর ভুলে যাবে। নতুন প্রতীক নিয়ে উদ্ধব শিবিরকে চিন্তাভাবনা করবার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এপ্রসঙ্গে ইন্দিরা গান্ধির দলীয় প্রতীক হারানোর কথা বলেছেন। তিনি জানা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চিরাচরিত প্রতীক হারিয়ে ভেঙ্গে পড়েননি। বরং নব উদ্যমে লড়াই শুরু করেছিলেন তিনি। ফিরেও এসেছিলেন ক্ষমতায়। আর তা নতুন প্রতীককে নিয়ে।সাধারণ মানুষ উদার চিত্তে গ্রহণ করেছিলেন নয়া হাত চিহ্নসহ ইন্দিরা কংগ্রেসকে। উদ্ধবের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না,  জানালেন  প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী।


  • Tags:

Read by: 37 views

❤ Support Us
Advertisement
homepage vertical advertisement mainul hassan publication
Advertisement
homepage billboard publication
Advertisement
Advertisement
শিবভোলার দেশ শিবখোলা স | ফ | র | না | মা

শিবভোলার দেশ শিবখোলা

শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।

সৌরেনি আর তার সৌন্দর্যের সই টিংলিং চূড়া স | ফ | র | না | মা

সৌরেনি আর তার সৌন্দর্যের সই টিংলিং চূড়া

সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।

মিরিক,পাইনের লিরিকাল সুমেন্দু সফরনামা
error: Content is protected !!