Advertisement
  • এই মুহূর্তে বি। দে । শ
  • আগস্ট ৫, ২০২৪

অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ব্রিটেন, হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ব্রিটেন, হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের

উগ্র ডানপন্থী বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করে দিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ১৩ বছরের মধ্যে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে জঘন্য দাঙ্গায় অংশ নেওয়ার জন্য অনুশোচনা করতে হবে।
গত সপ্তাহে অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভকারীরা দক্ষিণ ইয়র্কশায়ারের রডারহ্যামে একটি হোটেলের বেশ কয়েকটা জানালা ভেঙে দেয়। এছাড়া তিনজন শিশুকেও হত্যা করে। সাউথপোর্টের উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলীয় সমুদ্র উপকূলীয় শহরটিতে গত সোমবার গণ ছুরিকাঘাতের বিষয়ে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই বিভিন্ন শহরে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে। এই অস্থিরতা একাধিক শহরে ছড়িয়ে পড়ে। অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সদ্য প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসে কিয়ার স্টারমারের কাছে এই হিংসার ঘটনা বড় চ্যালেঞ্জ।
বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করে স্টারমার বলেন, ‘আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, এই ধরণের হিংসাত্মক ঘটনায় অংশ নেওয়ার জন্য অনুশোচনা করতে হবে। সরাসরি কিংবা অনলাইনে এই হিংসার ঘটনায় মদত দিয়ে অনেকেই দূরে সরে যাচ্ছে।’‌ স্টারমার আরও বলেছেন, ‘‌এইরকম গুণ্ডামির কোনও যৌক্তিকতা ছিল না।’‌ তিনি অপরাধীদের উপযুক্ত বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বিবিসি–তে সম্প্রচারিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, দাঙ্গাবাজরা রডারহ্যামের একটি হলিডে ইন এক্সপ্রেসে ঢুকে জ্বলন্ত বিনও ভবনের দিকে ঠেলে দেয়। সেই সময় কোনও আবাসিক ভিতরে ছিলেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। সেখানে ১০ জন কর্তা আহত হয়েছেন। তবে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, হোটেলের কোনও কর্মী কিংবা কোনও খদ্দের আহত হননি। উত্তর–পূর্বের শহর মিডলসবরোতে শত শত বিক্ষোভকারী ঢাল নিয়ে পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। কেউ কেউ পুলিশের দিকে ইট, ক্যান ও পাত্র ছুড়ে মারে। বিক্ষোভকারীরা এক সংবাদমাধ্যম কর্মীর ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে।
লিভারপুল, ম্যানচেস্টার, ব্রিস্টল, ব্ল্যাকপুল এবং হালের পাশাপাশি উত্তর আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টেও সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ১৫০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে। দাঙ্গাকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, বোতল এবং অগ্নিশিখা ছোড়ে। বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছন। সংঘর্ষের সময় বিক্ষোভকারীরা ইসলাম বিরোধী স্লোগান দিয়েছিল। লিভারপুলের খ্রিস্টান, মুসলিম এবং ইহুদি ধর্মীয় নেতারা যৌথ বিবৃতিতে শান্ত থাকার আবেদন জারি করেছেন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!