Advertisement
  • দে । শ
  • জানুয়ারি ৩, ২০২৩

রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে রাশিয়াকে সরানোর দাবি ইউক্রেনের, পাল্টা ইউক্রেনের ড্রোনকে মাটিতে ধরাশায়ী করল মস্কো

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে রাশিয়াকে সরানোর দাবি ইউক্রেনের, পাল্টা  ইউক্রেনের ড্রোনকে মাটিতে ধরাশায়ী করল মস্কো

রুশ -ইউক্রেন যুদ্ধ থামার এখনই কোন ইঙ্গিত নেই। দ্বিতীয় বার ড্রোন আক্রমণ হওয়ার পর এমনই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞদের।

সোমবার ইউক্রেনের পক্ষ থেকে রাশিয়ার সীমান্তের ১০০ কিমি অভ্যন্তরে এঙ্গেলস নামক এক বিমান ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ সেনা কর্তৃপক্ষের দাবি তাঁরা সাফল্যের সাথে ড্রোন হামলাকে প্রতিহত করেছেন। অপরদিকে ইউক্রেনের দাবি,এই বিমান ঘাঁটি থেকে ইউক্রেনের ওপর আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল রাশিয়া তাই এই আক্রমণ। সীমান্তে তিন নিরাপত্তা রক্ষী এই আক্রমণে নিহত হয়েছেন।

রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থার অবশ্য পালটা দাবি যে অন্তত ৪ জন ইউক্রেনীয় গুপ্তচরকে তাঁরা হত্যা করেছে। এর স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে তাঁরা একটা ভিডিও প্রকাশ করেছে তাতে দেখা গেছে বন্দুক হাতে চার গুপ্ত ঘাতকের রক্তাক্ত শরীর মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। গত একমাসের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয় বার রুশ সীমান্তে আক্রমণ করল ইউক্রেন। এই ড্রোন আক্রমণকে মস্কোর অতর্কিতে ইউক্রেন হামলার প্রত্যাঘাত হিসেবেই দেখছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহল।

উলেখ্য, রবিবার ইউক্রেন দাবি করেছিল রাশিয়ান ফেডারেশনকে রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে বিতাড়িত করা হোক। ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রী ডিমিট্র কুলেবা রাশিয়ার আর রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের থাকার যোগ্যতা আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আর নিজেই উত্তর দিয়েছিলেন নয়া নেই। প্রসঙ্গত, রাশিয়া রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। নিরাপত্তা পরিষদে কোনো সদস্য রাষ্ট্র কোনো প্রস্তাবের ওপর ভেটো প্রদান করলে সেই প্রস্তাব পাশ হয় না। তাই রাশিয়াকে নিরাপত্তা পরিষদ থেকে সরাবার কথা বলে ইউক্রেন বিশ্ব জনমতকে নিজের স্বপক্ষে আনতে চাইছে বলে মনে করছেন কূটনীতিক বিশেষজ্ঞরা।

অপরদিকে পুতিনও ইউক্রেন আক্রমণ নিয়ে নিজের অবস্থানে অনড়। তিনি মনে করেন এই আক্রমণ রাশিয়ার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়ারই অঙ্গ। যেহেতু ইউক্রেনের জনগণের বেশিরভাগই রাশিয়ান আর ঐতিহাসিকভাবে ইউক্রেন রাশিয়ারই অংশ তাই ইউক্রেনকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করতে চাওয়ার মধ্যে ভুল নেই। ‘বিভক্ত কর ও পরাজিত কর’ এই নীতিতে পশ্চিমি রাষ্ট্রগুলো বরাবরই চলেছে। তাই পুতিন চান সমগ্র রাশিয়াকে এক সূত্রে গাঁথতে।

ইউক্রেনের রাশিয়ার ওপর এই বারংবার আক্রমনের পিছনে আমেরিকা সহ পশ্চিমি রাষ্ট্রবর্গের আর্থিক ও সামরিক সাহায্যের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনেস্কি কদিন আগেই ওয়াশিংটন গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে মার্কিন সাহায্যের প্রার্থনা করেন। তাই রাশিয়ার সীমান্তে ইউক্রেনের আক্রমণ আগামী দিনেও যে অব্যাহত থাকবে তা নিয়ে নিশ্চিত দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রক।

 


  • Tags:
❤ Support Us
গুম গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
ধারাবাহিক: একদিন প্রতিদিন । পর্ব ৫ পা | র্স | পে | ক্টি | ভ রোব-e-বর্ণ
পথ ভুবনের দিনলিপি । পর্ব এক ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
error: Content is protected !!