Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুন ২০, ২০২৩

ইসরাইলকে রাষ্ট্রপুঞ্জের কড়া নির্দেশ, ফিলিস্তিনি এলাকায় বিলকুল আগ্রাসন নয়। জেনিন উদ্বাস্তু ক্যাম্পে তেল আভিভের ভয়াবহ হামলা, বিশ্বজুড়ে নিন্দা

পশ্চিম এশিয়ার আকাশে তীব্র উত্তাপ, জমিনেও আগ্নেয় উদগীরণ। আমেরিকার দৃষ্টিপাত কোনদিকে?

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ইসরাইলকে রাষ্ট্রপুঞ্জের কড়া নির্দেশ, ফিলিস্তিনি এলাকায় বিলকুল আগ্রাসন নয়। জেনিন উদ্বাস্তু ক্যাম্পে তেল আভিভের ভয়াবহ হামলা, বিশ্বজুড়ে নিন্দা

ইসরাইলকে রাষ্ট্রপুঞ্জ নির্দেশ দিয়েছে, অবিলম্বে অধিকৃত ফিলিস্তিনে বসবাস গড়ে তোলার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। জেনিন উদ্বাস্তু ক্যাম্পে তেল আভিভের হামলার পর এ ব্যাপারে কঠোর মনোভাব গ্রহণ করেছে পশ্চিমি দেশগুলো। রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান কোনো রকম সংশয় না রেখে বলেছেন, ইসরাইলিদের বসবাস গরে তোলার চেষ্টা অভিপ্রেত নয়। টেনশন ও সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ছে। ইসরাইলের একরোখা মনোভাব শান্তি স্থাপনের অন্তরায় হয়ে উঠছে।

সোমবার ইসরাইলের বিমান হানায় জেনিন উদ্বাস্তু ক্যাম্পে ১৫ বছরের বালকসহ ৫ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৯০ জন। গত ২৩ বছরে ফিলিস্তিনি ক্যাম্পে এরকম হামলা হয়নি। ক্যাম্পটি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত। ক্যাম্পের বাসিন্দারা রাস্তায় বসবাস করছেন। জল নেই। বিদ্যুৎ নেই। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আকাল। তাঁদের দিকে সাহয্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিভিন্ন দেশের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ক্ষোভে ফুঁসছে পশ্চিম এশিয়ার আরব-অনারব দেশগুলি। রাষ্ট্রপুঞ্জে দিন কয়েক আগে ইসরাইলের মানচিত্র সম্প্রসারনের প্রয়াসের নিন্দা করেছে অন্তত ১৫০টি দেশ।

জেনিন ক্যাম্পে বিমান হানার(হেলিকপ্টার) পর ফিলিস্তিনিরা বিভিন্ন দল, উপদলে ভাগ হয়ে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে। তাদের সশস্ত্র প্রতিক্রিয়ায় আহত হয়েছেন ৮ ইসরাইলি সেনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ১০ ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ অব্যাহত। রাষ্ট্রপুঞ্জের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাণ্টোনিও গুয়েত্রেস বলেছেন, ফিলিস্তিনি এলাকায় ইসরাইলি বসবাস গড়ে তোলার চেষ্টা আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন। ফিলিস্তিনিদের অবাধে ঘোরাফেরা ব্যাহত হচ্ছে। ফিলিস্তিনের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আর সার্বভৌমত্ব খণ্ডিত হচ্ছে। ইসরাইলের আগ্রাসন নীতি নিয়ে আমেরিকা এদিন মুখ খোলেনি। প্রকারান্তরে,  ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত নিকটস্থ দেশগুলির কিছু সংখ্যক এলাকাকে তেল আভিভের মানচিত্রের ভেতরে নিয়ে আসার পরিকল্পনাকে ওয়াশিংটন অনুমোদন করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে ইসরাইলের আগ্রাসন নীতিকে সমর্থন করেছেন। জো বাইডেনও পিছিয়ে থাকেন নি। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে বলেছিলেন, ইসরাইলের টিঁকে থাকার অধিকার রয়েছে। অধিকৃত ফিলিস্তিনে তার মানচিত্রের সংযুক্তিকরণের আকাঙ্খাকে মান্য দিতে হবে।

চিনের মধ্যস্থতায় সৌদি-ইরান সম্পর্কের পুনর্বিন্যাস এবং আরবদের শিবির বদলের পর মার্কিন নীতিতেও পরিবর্তন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। জেনিস ক্যাম্পে ইসরাইলি হানা উসকে দিচ্ছে ফিলিস্তিনকে নিয়ে আরব রাষ্ট্রগুলোর ঐক্য। পশ্চিম এশিয়া ও উপসাগরীয় আকাশ উত্তপ্ত। জমিনেও অস্ত্রের ঝনঝনানি। সৌদি আরব ও ইরানের অস্ত্রভাণ্ডারকে অস্বীকার করার উপায় নেই।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!