- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩
মণিপুর নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ রিপোর্ট রাষ্ট্রসংঘের বিশেষজ্ঞদের, স্পষ্ট অভিযোগ দিল্লির

গত পাঁচ মাস ধরে জাতিদাঙ্গায় জ্বলছে গোটা মণিপুর। হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেও হিংসার আগুন নেভানো যাচ্ছে না। উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সুপ্রিম কোর্টকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মণিপুরে “মানবাধিকার হনন’ ও সরকারের অপর্যাপ্ত” পদক্ষেপের অভিযোগ তুলে রিপোর্টে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে বিঁধেছেন রাষ্ট্রসংঘের বিশেষজ্ঞরা। এদিকে এই তথ্য জানার সঙ্গে সঙ্গেই ভারত রাষ্ট্রসংঘের বিরুদ্ধে পালটা তোপ দেগেছে, নয়াদিল্লি সাফ জানিয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের মনিপুর নিয়ে দেওয়া ওই রিপোর্ট “বিভ্রান্তিকর”। মণিপুর সম্পর্কে ‘পূর্ববর্তী ধারণার বশবর্তী’ হয়ে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২৯ আগস্ট মণিপুর হিংসা নিয়ে ভারত সরকারের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করেন রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ‘স্পেশ্যাল প্রসিডিউর ম্যানডেট হোল্ডার’ বা বিশেষ অধিকার প্রাপ্ত বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের পেশ করা “ইন্ডিয়া: ইউএন এক্সপার্টস অ্যালার্মড বাই কনটিনিউইং অ্যাবিউসেস ইন মণিপুর” শীর্ষক রিপোর্টে রীতিমতো তুলোধোনা করা হয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, “মণিপুরে মহিলাদের বিবস্ত্র করে হাঁটানো, গণধর্ষণ, হত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার হনন হয়েছে। পরিস্থিতি এত জটিল হওয়া সত্ত্বেও ভারত সরকার যথাযথ ও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।”
এদিকে রাষ্ট্রসংঘের মণিপুর নিয়ে এই রিপোর্টে চরম ক্ষুব্ধ নরেন্দ্র মোদি সরকার। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি দল এই রিপোর্টার তীব্র বিরোধিতা করেছে। নয়াদিল্লির সাফ কথা, “ওই রিপোর্ট বিভ্রান্তিকর। পূর্ববর্তী ধারণার বশবর্তী’ হয়ে তা পেশ করা হয়েছে। এতেই স্পষ্ট, যাঁরা রিপোর্ট পেশ করেছেন তাঁদের মণিপুরে কী ঘটছে বা সরকার কী করছে তা নিয়ে কোনও সম্যক ধারণা নেই। এসমস্তই ভিত্তিহীন। মণিপুরে আইনশৃঙ্খলা বজায় রয়েছে। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে তথ্যের উপর নির্ভর করে রিপোর্ট পেশ করা হবে।”
প্রসঙ্গত, গত পাঁচ মাস ধরে মেতেই-কুকি জাতিদাঙ্গার আগুনে জ্বলছে উত্তরপূর্বের এই রাজ্য। প্রায় দিনই সে রাজ্য থেকে সংঘর্ষ ও রক্ত ঝরার খবর মিলছে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯২। আহত বহু। উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে চরম দুর্দশায় দিন কাটছে মণিপুরবাসিদের। ফলে মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বারে বারে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার।
❤ Support Us