Advertisement
  • এই মুহূর্তে বি। দে । শ
  • নভেম্বর ১৫, ২০২৪

‌গাজায় ইজরায়েলের যুদ্ধ পদ্ধতি গণহত্যার সমান, ক্রদ্ধ প্রতিক্রিয়া জাতিসংঘের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
‌গাজায় ইজরায়েলের যুদ্ধ পদ্ধতি গণহত্যার সমান, ক্রদ্ধ প্রতিক্রিয়া জাতিসংঘের

গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলের যুদ্ধ গণহত্যার বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এমনই মনে করছে জাতিসংঘের এক কমিটি। পাশাপাশি ওই কমিটি আরও বলেছে, ফিলিস্তিনের অনাহারকে যুদ্ধের একটি পদ্ধতি হিসাবে ব্যবহার করছে ইজরায়েল।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের বিশেষ কমিটি ‘‌টু ইনভেস্টিগেট ইজরায়েলি প্র‌্যাকটিস’‌ ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের একটি পদ্ধতি হিসাবে অনাহারকে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছে। যার ফলে ফিলিস্তিনে বিশাল পরিমানে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এবং সাধারণ মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‌যুদ্ধ শুরুর পর থেকে, ইজরায়েলি কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে এমন কিছু নীতি গ্রহন করে, যা ফিলিস্তিনিরা জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি, যেমন খাদ্য, জল এবং জ্বালানী থেকে বঞ্চিত হয়েছে। মানবিক সহায়তার পদ্ধতিগত এবং বেআইনি হস্তক্ষেপের সাথে রাজনৈতিক এবং সামরিক লাভের জন্য জীবন রক্ষাকারী সরবরাহকে যন্ত্র হিসাবে ব্যবহার ইজয়েলের অভিপ্রায়কে স্পষ্ট করে।’‌

জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রতিবেদনটি প্রতিফলিত করে যে, মার্চ মাসে অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলের জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ফ্রান্সেস্কা আলবানিজ দ্বারা প্রকাশিত। যিনি সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, গাজায় ইজরায়েল গণহত্যা করছে বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি রয়েছে । ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইজরায়েলের যুদ্ধে কমপক্ষে ৪৩৭৩৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১০৩২৭০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ছিটমহলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এমনই জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বারবার জাতিসংঘের আবেদনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশনের বাধ্যতামূলক আদেশ সত্ত্বেও ইজরাইল ফিলিস্তিনি জনগণের উপর ‘‌সম্মিলিত শাস্তি’‌ অব্যাহত রেখেছে। গাজায় ইজরায়েলের ব্যাপক বোমা হামলার প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলিকে ধ্বংস করেছে এবং একটি পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে এনেছে, যা দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্যের প্রভাব ফেলবে।

ইজরায়েলের যুদ্ধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার সম্পর্কে ‘‌গুরুতর উদ্বেগ’‌ উত্থাপন করা হয়েছে যা কেবল হামাস যোদ্ধাদেরই নয়, অনেক নারী ও শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদেরও হত্যা করেছে। কমিটি বলেছে, ‘‌ইরায়েলি সেনাবাহিনীর এআই সহায়তা লক্ষ্যবস্তুর ব্যবহার, ন্যূনতম মানব তদারকি, ভারী বোমার সাথে মিলিত বেসামরিক এবং যোদ্ধাদের মধ্যে পার্থক্য করার এবং বেসামরিক মৃত্যু রোধ করার জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণের দায়বদ্ধতার প্রতি ইজরায়েলের অবহেলা রয়েছে। ‌

এদিকে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে ইজরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ঘটিয়ে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‌জোরপূর্বক স্থানান্তর’‌ এবং ‘‌প্রমাণ দেখায় যে এটি নিয়মতান্ত্রিক এবং রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ’‌। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইজরায়েলি পদক্ষেপগুলি ‘‌জাতিগত নির্মূলের সংজ্ঞা পূরণ করে’‌। জাতিসংঘের মতে প্রায় ১.‌৯ মিলিয়ন মানুষ, গাজার জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ গত এক বছরে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে এবং ৭৯ শতাংশ ভূখণ্ড ইজরায়েলের জারি করা উচ্ছেদের অধীনে রয়েছে। ইজরায়েল অবশ্য প্রতিবেদনটি ‘‌সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বাস্তবহীন’‌ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!