- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- ডিসেম্বর ৪, ২০২২
মেহেদি হাসানের অবিশ্বাস্য ব্যাটিং, ভারতের বিরুদ্ধে অবিস্মরণীয় জয় বাংলাদেশের

সম্ভবকে সম্ভব করে তুললেন মেহেদি হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। বিস্ময়কর ব্যাটিং। দশম উইকেটের জুটিতে বাংলাদেশের নতুন রেকর্ড। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দলকে ঐতিহাসিক জয় এনে দিলেন মেহেদি ও মুস্তাফিজুর। প্রথম একদিনের ম্যাচে ভারতকে ১ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলেছিল ১৮৬। জবাবে ৪৬ ওভারে ১৮৭/৯ রান তুলে মাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
টস জিতে এদিন ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। শুরুটা ভাল হয়নি ভারতের। ওপেনিং জুটিতে ওঠে মাত্র ২৩। ষষ্ঠ ওভারে ভারতকে প্রথম ধাক্কা দেন মেহদি হাসান। তাঁর বল রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড শিখর ধাওয়ান (১৭ বলে ৭)। এরপর ৩১ বলে ২৭ রান করে আউট হন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। একবল পরেই বিরাট কোহলিকে (১৫ বলে ৯) তুলে নিয়ে ভারতকে সবথেকে বড় ধাক্কা দেন সাকিব।
১০.২ ওভারে ৪৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান শ্রেয়স আয়ার ও লোকেশ রাহুল। শ্রেয়সকে (৩৯ বলে ২৪) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন এবাদত হোসেন। ওয়াশিংটন সুন্দরকে (১৯) তুলে নেন সাকিব। শাহবাজ আমেদ (০), শার্দুল ঠাকুর (২), দীপক চাহার (০), মহম্মদ সিরাজরা (৯) রান পাননি। একমাত্র লড়াই করেন লোকেশ রাহুল (৭০ বলে ৭৩)। ৪১.২ ওভারে ১৮৬ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। ৩৬ রানে ৫ উইকেট নেন সাকিব। অন্যদিকে এবাদত হোসেন ৪৭ রানে তুলে নেন ৪ উইকেট।
আপাতদৃষ্টিতে দেখে মনে হচ্ছিল জয়ের জন্য ১৮৭ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশের কাছে বেশ সহজই হবে। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের দাপটে লড়াই দারুণ জমে ওঠে। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলেই নাজমুল হোসেন শান্তকে (০) তুলে নেন দীপক চাহার। দশম ওভারে আবার ধাক্কা। মহম্মদ সিরাজের বলে ওয়াশিংটন সুন্দরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন আমানুল হক (২৯ বলে ১৪)। ২৬ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর অধিনায়ক লিটন দাসের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টেনে নিয়ে যান সাকিব আল হাসান। জুটিতে ওঠে ৪৮। লিটনকে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন ওয়াশিংটন সুন্দর। উইকেটের পেছনে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন লিটন (৬৩ বলে ৪১)। ৩ ওভার পরে সাকিবকেও (২৮ বলে ১১) তুলে নেন ওয়াশিংটন। এক হাতে দুরন্ত ক্যাচ ধরেন কোহলি।
পরপর ২ উইকেট হারিয়ে আবার চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। মুসফিকুর রহিম (৪৫ বলে ১৮) ও মাহমুদুল্লা (৩৫ বলে ১৪) চাপ কাটানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। এই দুজন আউট হতেই ধস নামে বাংলাদেশ ইনিংসে। পরপর ফিরে যান আফিফ হোসেন (৬), এবাদত হোসেন (০), হাসান মাহমুদ (০)। একসময় ১৩৬ রানে ৯ উইকেট পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। তখন জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫১। সেখান থেকে লড়াই শুরু করেন মেহেদি হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। দশম উইকেটের জুটিতে ওঠে ৫৩। শেষ পর্যন্ত ৪৫.৫ ওভারে ১৮৭/৯ তুলে ম্যাচ জিতে নেয়। মেহেদি ৩৯ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১১ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন মুস্তাফিজুর। ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ। ২টি করে উইকেট নেন কুলদীপ সেন ও ওয়াশিংটন সুন্দর।
❤ Support Us