- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ৩, ২০২৩
ইউনিসেফের উদ্বেগ, অভিশাপের আয়ু অন্তত ৩০০ বছর। ২০৩০-এর মধ্যে বাল্যবিবাহ বাড়তে পারে ১০ শতাংশ
বাল্য বিবাহ একজন মহিলার যাবতীয় ইচ্ছাপূরণের পথে বাধা স্বরূপ। সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব অল্প বয়সে বহন করার কারণে বহু আকাঙ্খাই অপূর্ণ থেকে থেকে যায়। জীবনের শেষ প্রান্ত ঘিরে ধরে অবসাদ । এ করূণ চিত্রের সঙ্গে পরিচিত মোটামুটি সকলেই। কিন্তু এ ছবি বদলাবার আশা আগামী দিনেও খুব বেশি নেই । রাষ্ট্রসংঘের সাম্প্রতিক সমীক্ষার হিসেব, অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা আগের থেকে কমলেও যে হারে তা হ্রাস পাচ্ছে, আগামী ৩০০ বছরেও সমাজ এ অভিশাপ থেকে রেহাই পাবে না। যা নিঃসন্দেহে উদ্বেগের।
সম্প্রতি, রাষ্ট্রসংঘের শিশু অধিকার সংস্থা একটি সমীক্ষার ফলাফল তাঁদের রিপোর্টে প্রকাশ করেছে। যেখানে প্রকাশ পেয়েছে বাল্য বিবাহ কমে আসার ইঙ্গিত। প্রতিষ্ঠানের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ২৫ বছরে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়ার সংখ্যা কমেছে। ১৯৯৭ সালে যেখানে মাত্র ২৫ শতাংশ ২০-২৪ বছর বয়সী মেয়ের ১৮ র আগে বিয়ে হয়েছিল, ২০২২ সালে তা দাঁড়িয়েছে ১৯ শতাংশে। যা আপাতদৃষ্টিতে ইতিবাচক একটি লক্ষণ । কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি এতটা আশাব্যঞ্জক নয়। ইউনিসেফ কর্তারা জানিয়েছেন, ৬৪ কোটি মেয়ে এখন ১৮-র আগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ। মনে করা হচ্ছে , প্রতি বছর ১কোটি ২০ লক্ষ মেয়ে বাল্যবিবাহের কবলে পড়ছে। অধিকাংশের বয়স ১২ থেকে ১৭। ২০৩০ নাগাদ এসংখ্যা আরো ১০ শতাংশ বাড়তে পারে।
ভারতের অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভালো। সমীক্ষায় প্রকাশ, গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় বাল্য বিবাহের যে হার তা ভারতে অনেকটাই কম। গোটা উপমহাদেশে এখন ৬৪কোটি মহিলার মধ্যে ৪৫ শতাংশ এমন মেয়ে রয়েছে যাদের খুব অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছে। বাল্য বিবাহের হ্রাস যেমন আনন্দের, তেমনি এই পরিসংখ্যানকে অবজ্ঞা করা অন্যায়।
আর্থ-সামাজিক অনিশ্চয়তা বাল্য বিবাহ টিকে থাকার অন্যতম কারণ। করোনার পরে অধিকাংশ পরিবারের আয় কমেছে। মেয়ের বিয়ে দিয়ে একজনের ভরণ পোষণের দায় থেকে নিজেদের মুক্ত করতে চাইছেন বহু অভিভাবক। আসলে বিবাহই একমাত্র শারীরিক, সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তার একমাত্র ভরসা বলে অনেকের ধারণা। বিবাহের বিকল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। উন্নত দেশগুলোর পরিস্থিতি প্রমাণ করছে, লিভ টুগেদার কিংবা অন্যরকম সহযাপনে সমস্যার মীমাংসা দূর অস্ত ।
❤ Support Us