শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। অমৃতকালের শেষ বাজেট বলেই শুরু করলেন তাঁর বাজেট বক্তৃতা। বললেন, বাজেটের সাতটি উদ্দেশ্য ‘সপ্তর্ষি’-র কথা। যার মূল কথা হল দেশের সার্বিক উন্নতি।
মধ্যবিত্তের জন্য এই বাজেট কল্যাণকর হতে চলেছে গতকালই জানিয়েছিলেন বিজেপির সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তারই প্রতিফলন দেখা গেল আজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষিত বাজেটে। ঘোষিত হল নতুন করকাঠামো। মধ্যবিত্তদের সুবিধার্থে করছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো হল। ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে কোনো কর দিতে হবে না বলে জানালেন তিনি। আগে এই সীমা ছিল ৫ লক্ষ টাকা। ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে দিতে হবে ১০ শতাংশ কর। ৯ থেকে ১২ লক্ষ টাকা আয়ে ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে। ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে করসীমা ধার্য করা হয়েছে ২০ শতাংশ। ১৫ লক্ষ টাকার বেশি আয়ে কর দিতে হবে ৩০ শতাংশ। সর্বোচ্চ করদাতাদের জন্য সুখবর, কমানো হল তাদের সার চার্জ। ব্যক্তিগত আয়ের ক্ষেত্রেও ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হবে না বলে জানান তিনি। আগে যা ছিল ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। ৩ থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ৫ ও তার পরে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর ধার্য করা হয়েছে। ৯ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ১৫ শতাংশ কর দেওয়ার কথা জানালেন তিনি। নিরাশ করেননি বেসরকারী কর্মচারীদেরও। ছুটি বিক্রি করলে আগে যেখানে ৩ লক্ষ টাকা পেতেন তাঁরা, এখন থেকে তার পরিমাণ বাড়িয়ে করা হল ২৫ লক্ষ টাকা। উল্লেখ্য, গত দু বছরে আয়কর ছাড়ের ক্ষেত্রে বড় কোনো পরিবর্তন করেনি অর্থ মন্ত্রক। ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মধ্যবিত্তদের খুশি করতে এক কার্যকরী পদক্ষেপ বলে মনে করছেন অনেকেই। বয়স্ক নাগরিকদের স্বস্তি দিতেও উদ্যোগী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়ে প্রবীণরা বিশেষ ছাড় পাবেন বলে জানালেন অর্থমন্ত্রী।
মেয়েদের আর্থিক উন্নয়নের লক্ষ্যেও নির্মলা সীতারামণ ঘোষণা করলেন ‘মহিলা সম্মানপত্র’ প্রকল্প। ৭.৫ শতাংশ সুদের হারে তারা ২ বছরের জন্য ২লক্ষ টাকা রাখতে পারবেন। এই অর্থ রাখার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত।
দেশের পরিকাঠামোগত উন্নতির জন্যও বাড়ানো হল ব্যয় বরাদ্দ। জিডিপির ৩.৩ শতাংশ অর্থাৎ ১০ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করার কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। যার মধ্যে রেলের জন্যই খরচ করা হবে ২.৪ লক্ষ কোটি টাকা। দেশকে উন্নতির চরমে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করবার পর অর্থমন্ত্রী আবাস যোজনায় বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা জানালেন। প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নির্ধারিত ব্যয়ের পরিমাণ স্থির করা হল ৭৯ হাজার কোটি টাকা। দেশের যুবসমাজের কর্মসংস্থানের জন্য একলব্য মডেল স্কুলে ৩৮ হাজার শিক্ষককে নিয়োগ করবার কথা সংসদে জানালেন তিনি। পিএম কৌশল বিকাশ যোজনার মাধ্যমে তরুণদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও জানান তিনি।
কোভিড অতিমারীতে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা এক প্রবল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিল। তাই স্বাস্থ্যব্যবস্থার পরিকাঠামো গত উন্নয়নে কেন্দ্র পদক্ষেপ নেবে এমন প্রত্যাশা ছিলই। তাই বাজেটেও দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির জন্য একগুচ্ছ ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। যেমন- স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ ৯৪ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২.৩৮ লক্ষ কোটি টাকা বাড়ানো হল। আগামী ৬ বছরে এক্ষেত্রে ৬১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করার কথা বলেন তিনি। এছাড়াও ১৬১ টি নতুন নার্সিং কলেজ গড়ে তোলা, ফার্মাসিউটিক্যাল ক্ষেত্রে নতুন প্রকল্প গড়ে তাতে বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর জন্য উৎসাহিত করা হবে বলে জানালেন তিনি।
দেশের জিডিপির একটা বড় অংশ আসে কৃষিক্ষেত্র থেকে। তাই কৃষি উন্নয়নের জন্য ৬৩ হাজার প্রাথমিক কৃষি ক্রেডিট সোসাইটিকে কম্পিউটারাইজ়ড করার কথা ঘোষনা করেন নির্মলা সীতারামণ। তৈরি হবে ডেটাবেস। যার ফলে কৃষকরা উৎপাদনের সঠিক দাম পাবেন। কৃষকরা যে সমস্ত সমস্যার মুখোমুখি হন, তার জন্য খরচ করা হবে। কৃষক, শিল্প সংস্থা এবং সরকারের মধ্যে মেলবন্ধন থাকবে। হস্তশিল্পের জন্য নয়া প্রকল্প আনার কথা ভাবছে অর্থমন্ত্রক। নাম ‘পিএম বিকাশ’। ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর। এই শিল্পসামগ্রীর বিক্রির ব্যবস্থা করবে সরকার। এর ফলে উপকৃত হবেন আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষরা।
এছাড়াও রাজ্যগুলোকে বিনা সুদে ঋণ সরবরাহের পরিমাণ আরও ১ বছর বাড়ানো, কর্নাটকে সেচ ব্যবস্থার উন্নতিতে ৫,৩০০ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় সাহায্য, শিশুদের জন্য ডিজিটাল লাইব্রেরী তৈরি, দূষণ রোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। সমাজের অনগ্রসর অংশের মানুষের লক্ষ্যে সরকার আগ্রহী। সেই লক্ষ্যেই এই বাজেট, দাবি সীতারামণের। তবে সমালোচকরা ভোটের আগে একে গেরুয়া শিবিরের এক জনমোহিনী অর্থনৈতিক কৌশল বলে মনে করছেন
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34