Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • জুন ২০, ২০২৪

১৪টি খারিফ ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
১৪টি খারিফ ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার

বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে নূন্যতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করার জন্য বিরোধী দলগুলির নবনির্বাচিত সদস্যদের কাছে ১২ দফা স্মারকলিপি দেওয়ার কথা সম্মিলিত কিষাণ মোর্চার। তার আগেই ১৪টি খারিফ ফসলের জন্য নতুন ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘‌বুধবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে বেশ কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা কৃষকদের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে। খারিফ মরশুম শুরু হচ্ছে। তার জন্য মন্ত্রিসভা ১৪টি ফসলের নূন্যতম সহায়ক মূল্য অনুমোদন করেছে। ধানের জন্য নতুন নূন্যতম সহায়ক মূল্য হল ২৩০০ টাকা। আগের তুলনায় ১১৭ টাকা বেশি।’‌ ধান ছাড়াও ডালের মধ্যে মুগ, তুর, উরের নূন্যতম সহায়ক মূল্য বাড়ানো হয়েছে। সূর্যমুখী এবং চীনাবাদামের মতো তৈলবীজের নূন্যতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তালিকায় রয়েছে তুলাও।

মুগের নূন্যতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৬৮২ টাকা, তুরের ৭৫৫০, উরের ৭৪০০। তুলার সর্বনিম্ন নূন্যতম সহায়ক মূল্য সাধারণ জাতের জন্য ৭১২১ টাকা এবং অন্য জাতের জন্য ৭৫২১ টাকা, যা আগের নূন্যতম সহায়ক মূল্যের তুলনায় ৫১০ টাকা বেশি। বাজরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য একটি ফোকাস ক্ষেত্র। বাজরার নূন্যতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩৭১ টাকা, রাগির জন্য ৪২৯০, ভুট্টার জন্য ২২২৫ টাকা। বর্ধিত নূন্যতম সহায়ক মূল্যর অর্থ হল আগের বছরের তুলনায় কৃষকদের ৩৫ হাজার কোটি টাকা লাভ হবে।

কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের জন্য একটি আইনি গ্যারান্টি। এই আইনি গ্যারান্টির জন্য চলতি বছরের শুরুতে বড় আকারের বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন কৃষকরা। সামনেই হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যগুলিতে বিধানসভা নির্বাচন। চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে কৃষকদের সন্তুষ্ট করতেই ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির পথে হাঁটল কেন্দ্র।

ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আরও কয়েকটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র মন্ত্রীসভা। মহারাষ্ট্রের ডাহানুর কাছে ভাধাবনে একটি বড় গ্রিনফিল্ড বন্দর স্থাপনেরও অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পটি ভাধাবন পোর্ট প্রোজেক্ট লিমিটেড দ্বারা নির্মিত হবে। ৭৪৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে অফশোর উইন্ড এনার্জি প্রকল্পের জন্য ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং স্কিমটিও গ্রিনলিট করা হয়েছে। গুজরাট এবং তামিলনাড়ুর উপকূলে ১ গিগাওয়াট অফশোর বায়ু শক্তি প্রকল্প, ৫০০ মেগাওয়াট স্থাপন এবং চালু করার জন্য ৬৮৫৩ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। এছাড়া, একটি নতুন টার্মিনাল বিল্ডিং এবং রানওয়ে সম্প্রসার সহ বারাণসীতে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়নের জন্য এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার একটা প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!