- এই মুহূর্তে দে । শ
- অক্টোবর ২৭, ২০২৩
সিরিয়ার মার্কিন ড্রোন হামলার সঙ্গে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্ক নেই । অভিবাসী নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই অভিযান, মন্তব্য মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের
আমেরিকা সিরিয়ায় দুটি এলাকায় হামলা চালিয়েছে। ইরান সেনার আধিপত্য থাকা দু’টি এলাকায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে মার্কিন সেনা। আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, গত বেশ কয়েকদিন ধরে মার্কিন নাগরিকদের উপরে হামলা চালিয়েছে ইরান। আত্মরক্ষা করতেই তাই পালটা হামলা চালিয়েছে আমেরিকার। যদিও মার্কিন ড্রোন হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, এই আক্রমণ ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ থেকে “বিচ্ছিন্ন এবং স্বতন্ত্র” ঘটনা।
শুক্রবার ভোর রাতে সিরিয়ার পূর্বদিকে হামলা চালায় আমেরিকা। তবে ঠিক কোন কোন জায়গায় হামলা হয়েছে, হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা- তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে কিছুই জানা যায়নি। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের বিবৃতিতে সাফ জানানো হয়েছে, আমেরিকা কোনও রকম সংঘর্ষ চাইছে না। কিন্তু মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রধান উদ্দেশ্য, তাই আত্মরক্ষা করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। বাইডেনের নির্দেশেই গোটা ঘটনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লয়েড।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে তাতে বলা হয়েছে, গত ১৭ অক্টোবর থেকে ইরান ও সিরিয়ায় বসবাসকারী মার্কিন নাগরিকদের উপরে ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। তার ফলে মৃত্যু হয়েছে এক মার্কিন নাগরিকের। আহত হয়েছেন ২১ জন। এই ঘটনার পরেই বাইডেন সাফ জানিয়েছেন, মার্কিন নাগরিকদের রক্ষা করতে যে কোনও রকমের পদক্ষেপ করতে পারে আমেরিকা। তবে কোনও সংঘর্ষ বা হামলা চায় না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আমেরিকাকে সরাসরি হুমকি দিয়েছিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরআবদোল্লাহিন। তিনি বলেন, গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েল-হামাস দ্বন্দ্ব না থামলে আমেরিকাকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। তার পালটা হুমকি দিয়েছেন বাইডেনও। এই হুমকির পরেই ইরান সেনার আধিপত্য থাকা এলাকায় হামলা চালালো আমেরিকা। তবে এই হামলা নিয়ে সিরিয়া বা ইরানের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এদিকে এখনও গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল, এই ঘটনায় আবাসিক এলাকা আক্রান্ত হচ্ছে। বহু ফিলিস্তিনি মানুষের এই হামলায় মৃত্যু হচ্ছে, যার মধ্যে শিশুও রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই মৃত্যুর সংখ্যার নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হাজার হাজার ফিলিস্তিনিদের নাম প্রকাশ করে বলেছে, “প্রতিটি সংখ্যার পেছনে একজন ব্যক্তির গল্প রয়েছে”। হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন যে গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি “আগ্রাসন” “পুরো অঞ্চলকে অশান্ত করবে”।এদিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ গাজা নিয়ে শুক্রবার জর্ডান কর্তৃক প্রণীত একটি প্রস্তাবে ভোটের মাধ্যমে একটি জরুরি বৈঠক শুরু করেছে।
এরই মধ্যে ইসরায়েল ও হামাস-এর মধ্যে আক্রমণ ও মৃত্যু সংখ্যা নিয়ে পারস্পরিক অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পালা চলছে। বুধবার অন্তত ৩০টি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র গাজা শহরের আবাসিক ইয়ারমুক স্কোয়ারকে লক্ষ্য করে, অন্তত আটটি বসতিপূর্ণ আবাসন ও সমতলে আক্রমণ চালায়।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে যে লোহিত সাগর অঞ্চলে একটি আকাশপথে হামলার হদিশ পেয়ে ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে সেই হামলাকে প্রতিহত করে মিশরীয় উপকূলীয় অঞ্চলে সেই হেলিকপ্টারগুলিকে নামানো হয়েছে বলে প্রধান সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন। ইসরায়েল মিশর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কাজ করবে এবং লোহিত সাগর অঞ্চলের হুমকির বিরুদ্ধে আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা জোরদার করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
❤ Support Us