- বি। দে । শ
- মে ৯, ২০২৪
ইসরাইলকে বাইডেনের কড়া হুমকি। গাজার রাফা কার্যত ধ্বংসস্তূপ। শহর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি

গাজাস্ট্রিপের দক্ষিণাঞ্চল রাফায় শান্তি প্রক্রিয়া প্রতিহত।হামাস আর ইসরাইলের কায়রো বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। ইসরাইলের লাগাতার হামলা ব্যর্থ। সশস্ত্র হামাস রাফা ছাড়েনি। পণবন্দীদেরও মুক্তি দেয়নি। এদের মুক্তির দাবিতে সম্প্রতি তীব্র বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয় তেল আবিভ ও অন্যত্র।রাফার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ইসরাইল অস্ত্রাঘাত অব্যাহত রেখেছে। বিবিসির খবর, রাফায় ইসরাইলের আঘাতের প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলকে সতর্ক করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, বাড়াবাড়ি বন্ধ করতে হবে ইসরাইলকে। আমেরিকা পাশে থাকবে না, অস্ত্র সরবারহ করবে না। ঘনবসতিপূর্ণ শহরে ইসরাইলি সেনা প্রবেশ করলে সমরাস্ত্র জোগানো হবে না।
বাইডেনের কড়া বার্তাকে হুমকি ভেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে। এতদিন প্রকারান্তরে ইসরাইলকে সমর্থন করছিল বাইডেন প্রশাসন। ইসরাইলের দক্ষিণপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির এক্সে লিখেছেন, হামাস বাইডেনকে পছন্দ করে। বেন-গাভির বয়ানকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যা দিয়েছেন ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট ইসাক হারজোগ। রাফায় নিযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধি বলেছেন, সংকট বাড়ছে। মার্কিন বিদেশমন্ত্রী লর্ড ক্যামেরন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, ইসরাইলের মনোভাব অস্বচ্ছ। আমেরিকা কোনো অবস্থাতে তেল আবিভের পাশে থাকবে না। ট্যাঙ্কের লাগতার আঘাতে রাফার লোকালয় কার্যত ধ্বংসস্তূপ হয়ে উঠছে।এপর্যন্ত ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক শহর ছেড়ে পালিয়েছেন। হতাহতের তথ্য জানা যায়নি। পূর্ব রাফার প্রায় এক লাখ নাগরিক বন্দী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। এদের সবাই ইসরাইলি সেনার টার্গেট। আশপাশের এলাকায় উদ্বাস্তুরা উপচে পড়ছেন। শহরে যাঁরা আটকে আছেন, তাঁদের খাবার নেই, চিকিৎসা নেই। পালাবার রাস্তা নেই।ঘন ঘন বোমা ছুঁড়ছে ইসরাইলি সেনা। রাষ্ট্রপুঞ্জ বলেছে, ৩০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গৃহহীন লোকেরা আশ্রয় নিয়েছেন, পার্শবর্তী অঞ্চলে। ইসরাইল তাঁদের আশ্রয় শিবিরে পাঠিয়ে শহর খালি করতে চাইছে।
ইসরাইলের মারমুখী কান্ডে নীরব আরববিশ্ব। কেন, সদুত্তর মেলা কঠিন।চাপে পড়েছে আমেরিকা। সামনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ইহুদি লবি তলে তলে সক্রিয়।তাঁদের অর্থ কৌশল ব্যবহারে বাধ্য যে কোনো হবু প্রেসিডেন্ট। বিরুদ্ধ বিশ্বজনমতের প্রভাব থেকেও রেহাই নেই । উভয় সংকট। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলের আগ্রাসন নীতির পাশে ছিলেন। জো বাইডেন ট্রাম্পের ওই ঘোষিত নীতির বিরোধিতা করেননি।ট্রাম্প বহুমুখী চাপে আছেন। গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা, রাফায় নিচ্ছিদ্র অবরোধ নিয়ে মুখ খোলেননি।ইরানই একমাত্র দেশ, ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে তাদের ক্ষেপানাস্ত্র ইসরাইল মুখী করে রেখেছে। রাশিয়া নিশ্চুপ নয়। পুর্ননির্বাচিত পুতিন সম্ভবত চুপ থাকবে না। কৌশলগত অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াবে না চিন । ভারতের নির্বাচন শেষ হলে সক্রিয় হয়ে উঠবে পরবর্তী সরকার। নরেন্দ্র মোদি ইসরাইলের স্বাভাবিক বন্ধু। ক্ষমতায় ফিরলে তাঁর ভূমিকা কী হতে পারে, তা অনুমান করা সহজ।
❤ Support Us