- এই মুহূর্তে দে । শ
- সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪
প্রয়াত প্রবীণ সাংবাদিক
চলে গেলেন কাটোয়া মহকুমার প্রবীণ সাংবাদিক দীপ্তিকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। ধীরে ধীরে গ্রাস করেছিল বার্ধক্যজনিত নানান সমস্যা। তবুও অদম্য মনের জোরে তাঁর পাঁচ দশক পার করা সাধের পাক্ষিক সংবাদপত্র ‘ধুলামন্দির’ নিয়ম করে দিনের আলো দেখত। বার্ধক্যজনিত ব্যাধির সঙ্গে একা কুম্ভ হয়ে লড়াই চালিয়ে বিরাশি বছরের ‘যুদ্ধে ইতি’ পড়ল। অদম্য ইচ্ছা তাঁর জীবনবোধকে জাগিয়ে রেখেছিল। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চিরদিনের মতো লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গেলেন ‘ধুলামন্দির পত্রিকা’র সম্পাদক।
দীপ্তিবাবুর মৃত্যু সংবাদে কাটোয়া সাংস্কৃতিক মহলে শোকের ছায়া নামে। তাঁর দেহ দুই পুত্র পুষ্পেন ও প্রলয়ের তত্ত্বাবধানে হাসপাতাল থেকে অনাদিবাবুর বাগান এলাকার বাসভবনে নিয়ে আসা হয়। আত্মীয় পরিজন থেকে শুরু করে কাটোয়ার সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মকর্তা থেকে সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর বাসভবনে ভিড় করেন। শোক ও শ্রদ্ধা জানান কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি, মহকুমা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রণদেব মুখার্জি, রবীন্দ্র পরিষদের সম্পাদক তুষার পণ্ডিত, প্রবীণ চিকিৎসক পরেশনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, শেখর সরকার প্রমুখ। কাটোয়ার অনেক সংগঠনের পত্তনের সঙ্গে দীপ্তিবাবুর নাম পরতে পরতে জড়িয়ে ছিল। নিজে জনস্বাস্থ্য কারগরি বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মী হয়েও সাংবাদিকতাকে ভালোবেসে ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসে সহধর্মিণী লক্ষী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় সাময়িক সংবাদপত্র প্রকাশ শুরু করেছিলেন। ছাত্র অবস্থা থেকে লেখার শখ ছিল। সেই শখ পরবর্তী সময়ে পেশায় পরিণত হয়েছিল। সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পরও প্রায় দুদশক দীপ্তিবাবু পুরোদমে সাংবাদিকতা করেছেন। নিজ গুণে বহু গুণী মানুষের সান্নিধ্যে এসেছিলেন। একবিংশ শতকের প্রথম দশকে কাটোয়া মহকুমা প্রেস ক্লাবের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। এই সংগঠনের সম্পাদক ও সভাপতির পদ সামলেছেন। কাটোয়া মহকুমা প্রেসক্লাবের তিরিশ বছর পূর্তিতে দীপ্তিবাবুকে বিশেষ সম্মান জানানো হয়।
❤ Support Us