- দে । শ
- মে ২৯, ২০২৪
সামনেই অমাবস্যার কোটাল, নদী বাঁধ ঘিরে জনউদ্বেগ।আশ্বাস সেচমন্ত্রীর

হাসনাবাদ ব্লকে বিজেপি পরিচালিত হাসনাবাদ পঞ্চায়েতের ট্যাঙরামারি গ্রামে কাটাখাল নদীর বাঁধের অবস্থা ভালো নয়। এনিয়ে গ্রামের মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। নদীর বাঁধের পাশেই জনবসতি। কয়েক’শ পরিবারের বাস। রয়েছে বাজার, দোকান। বাঁধ সেখানে শীর্ণ হয়ে এসেছে। পঞ্চায়েত কোন কাজ করে না বলে অভিযোগ।বসিরহাটের মহকুমা শাসক অশিস কুমার বলেন, ‘ঝড়ে বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যেখানে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে , তার ছিঁড়ে গিয়েছিল তা ঠিক করে বিদ্যুৎ সরবরাহ এখন স্বাভাবিক। বাঁধে বড় ক্ষতি হয়নি। কোথাও কোথাও বাঁধে ধস নেমেছিল তা মেরামতি কাজ চলছে।’ এদিকে আজ রেমাল বিপর্যয়ের পর ক্ষতিগ্রস্ত সন্দেশখালিতে নদী বাঁধ দেখলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।
সন্দেশখালির ১ ব্লকের ন্যাজাট ১ পঞ্চায়েতের বাউনিয়া সিং পাড়ায় বেতনি নদীর বাঁধ পরিদর্শন করেন সেচমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক সুকুমার মাহাতো , তৃণমূল নেতা সুরজিৎ মিত্র ( বাদল)। এদিন সেচমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে এলাকার মানুষ তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। স্থানীয় মানুষের দাবি, প্রতিবছর বাঁধ ভেঙে তাদের ভিটেমাটি , চাষের জমি সব নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। এপর্যন্ত দেড় হাজার বিঘার বেশি জমি নদীতে চলে গিয়েছে। মহিলারা বলেন, আমাদের জমি জায়গা সব নদীতে। আমরা পরিবার নিয়ে রাস্তায় এসে বাস করছি। বাঁধটাকে ভালো ভাবে ঠিক করার দাবি জানান তাঁরা। বলেন, ‘আমরা চাই আপনি একটা স্থায়ী কিছু ব্যবস্থা করুন। বড়ো বড়ো কোটালে আমাদের ঘর ছাড়তে হয়।’
পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আমাকে পাঠিয়েছেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন নিজের চোখে পরিস্থিতি দেখে যাওয়ার জন্য। আমি এসেছি আপনাদের জন্য স্থায়ী কিছু করা যায়।’ পার্থ বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, নিজের চোখে দেখে এস, ওনাদের সমস্যার সমাধান করতে হবে।’ মন্ত্রী গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমি গিয়েই মমতা ব্যানার্জির কাছে সব বলব। দিদি আপনাদের ব্যাপারে সবার আগে ভাবেন। আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন সামনের কোন দুর্যোগ যদি আসেও তখন আপনাদের এই ভয় আর পেতে হবে না।’
❤ Support Us