- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
বিশ্বকাপ জেতা নিয়ে শচীনকে কটাক্ষ বিরাট কোহলির ! নিজেকে ব্যর্থ অধিনায়ক বলতে নারাজ

ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৫ হাজারের বেশি রান। গড়েছেন একের পর এক মাইলস্টোন। ব্যাটার হিসেবে তাঁর সাফল্য অবিসংবাদিত। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। দীর্ঘদিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে নেতৃত্ব দিয়েও আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি। দেশকে আইসিসি–র কোনও খেতাবও এনে দিতে পারেননি। তা সত্ত্বেও নিজেকে ব্যর্থ অধিনায়ক বলতে আপত্তি বিরাট কোহলির। বিশ্বকাপ জেতা নিয়ে শচীনকে পরোক্ষে কটাক্ষও করেছেন।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের পডকাস্ট সিজন ২–তে কোহলি বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে যে কোনও প্রতিযোগিতায় খেলতে নামি। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল খেলেছি। ২০১৯ সালে দেশকে একদিনের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও তুলেছিলাম। আমার নেতৃত্বে দেশ আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও উঠেছিল। তবে ২০২১ টি২০ বিশ্বকাপের নক আউটে যেতে পারিনি। আইসিসি–র প্রতিযোগিতার বিচারে আমাকে ব্যর্থ অধিনায়ক হিসেবেই দেখা হয়। তবে আমি নিজেকে ব্যর্থ মনে করি না।’
দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও দলের সংস্কৃতিতে পরিবর্তন নিয়ে আসাটাই কোহলির কাছে সাফল্যের সংজ্ঞা। তিনি বলেন, ‘দলগতভাবে অনেককিছুই অর্জন করেছি এবং দলের সংস্কৃতিতে বদল নিয়ে আসতে পেরেছি। সেটাই আমার কাছে গৌরবের। একটা প্রতিযোগিতা অল্পদিনের জন্য স্থায়ী হয়। কিন্তু সংস্কৃতি গড়ে তোলার প্রক্রিয়া দীর্ঘসময়ের। তার জন্য ধারাবাহিকতা দরকার। প্রতিযোগিতা জেতার চেয়েও যেখানে চারিত্রিক দৃঢ়তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
পরোক্ষে শচীনকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি বিরাট কোহলির। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটার হিসেবে আমি বিশ্বকাপ জিতেছি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছি। পাঁচবার টেস্টে ১ নম্বর দল হিসেবে ভারত যে স্বীকৃতি পেয়েছিল তারও অঙ্গ ছিলাম। এমনও অনেক ক্রিকেটার রয়েছেন, যারা বিশ্বকাপ জিততে পারেননি। আমি ২০১১ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। বড় রান করার ধারাবাহিকতা দেখিয়ে যেভাবে দলে জায়গা নিশ্চিত করতে পেরেছিলাম। বিশ্বজয়ী দলের সদস্য হতে শচীন তেন্ডুলকারের ৬টা বিশ্বকাপ লেগেছিল। অথচ আমি প্রথমবার বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েই কাপ জেতার সাক্ষী থাকতে পেরেছিলাম।’
❤ Support Us