- দে । শ
- মার্চ ২০, ২০২৩
‘বাড়তি’ জমি ছাড়তে হবে অমর্ত্যকে ! শান্তিনিকেতনে অনুপস্থিত অর্থশাস্ত্রীকে বিশ্বভারতীর উচ্ছেদ বার্তা
বিতর্কের মাঝে জমির মালিক রূপে অমর্ত্যকে রাজ্য সরকারের স্বীকৃতি, আপাতত স্বস্তিতে প্রতীচির সদস্যরা
অমর্ত্যের অনুপস্থিতিতে শান্তিনিকেতনে তাঁর বাড়িতে উচ্ছেদের নোটিশ পাঠালেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ২৪ মার্চের মধ্যে প্রাজ্ঞ অর্থশাস্ত্রীর কাছে শোকজের জবাব চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২৯ মার্চ প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক বিল্ডিং এর সভাকক্ষে তাঁকে অথবা তাঁর কোনো প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে । সে দিন জমি মামলার শুনানি হবে।
বিশ্বভারতীর সঙ্গে জমি বিবাদ যখন তুঙ্গে, সে সময় অমর্ত্য সেনের জমি সংক্রান্ত নথি সামনে আনল রাজ্য সরকার। সোমবার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর বল, মৌজা, দাগ নম্বর ধরে জমির খতিয়ান প্রকাশ করেছে। লিজ হোল্ডার রূপে অমর্ত্য সেনের নাম রাখা হয়েছে। বিএলআরও দফতর সূত্রে খবর, বাবা আশুতোষের নামে থাকা জমিটি তাঁর ছেলে অমর্তের নামে করে দেওয়া হয়েছে।(যদিও নথির সত্যতা যাচাই করে দেখেনি আরম্ভ)। গত মাসে তিনি ভূমি রাজস্ব ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাছে এ ব্যাপারে আবেদন জানিয়েছিলেন। আজকে এই নথি প্রকাশের পর আপাতত কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন নোবেলজয়ী, ধারণা অমর্ত্য ঘনিষ্ঠদের। তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ টুইট করে লিখেছেন, অমর্ত্য সেনের জমির তথ্য। অকারণ তাঁকে অপমান করছে বিজেপির সমর্থক ব্যক্তিরা। তিনি জানিয়েছেন, জমি বিতর্কে প্রশাসন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পাশে রয়েছে। তাঁকে যাবতীয় সহযোগিতা করতে তাঁরা প্রস্তুত।
জমি সংক্রান্ত বিবাদে প্রগাঢ় অর্থশাস্ত্রী ও দার্শনিকের হেনস্থা অব্যাহত রেখেছেন উপাচার্য ও বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও তাঁর অনুগামীরা। অতিরিক্ত ১৩ ডেসিম্যাল জমি ফিরিয়ে দিতে তাঁকে বারবার চিঠি পাঠিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অমর্ত্য সেন এখন বিদেশে । তাঁর অনুপস্থিতিতে উচ্ছেদের নোটিশ পাঠানোর মধ্যে দুরভিসন্ধির আভাস খুঁজে পাচ্ছেন প্রবীণ আশ্রমিকরা। প্রতীচি ট্রাষ্টের জনকল্যাণমুখী মানব দরদী কার্যকলাপ রোখার অপপ্রচেষ্টার সম্ভাবনাকে এক্ষেত্রে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
❤ Support Us