- এই মুহূর্তে দে । শ
- জানুয়ারি ৭, ২০২৪
বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দিলেন শেখ হাসিনা। বিএনপির হরতাল ঘিরে বিক্ষিপ্ত অশান্তি, কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে চলছে নির্বাচন
রবিবার সকাল ৮টা থেকে বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। আওয়ামী লীগসহ ২৭টি দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। অন্যদিকে নির্বাচন বয়কটের আহবান জানিয়ে হরতাল ডেকেছে বিএনপি ও তাদের সমমনস্ক দলগুলো। শনিবার থেকে এই হরতাল বা ধর্মঘটকে ঘিরে বিক্ষিপ্ত অশন্তি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিস কঠোর নিরাপত্তায় ঘিরে রাখা হয়েছে।
রবিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর পরই ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জাতির প্রতি ভোতদানে অংশগ্রহনের আহ্বান জানিয়েছেন।
নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম মারা যাওয়ায় ওই আসনের নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন । ফলে একযোগে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোট শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু, অবাধ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশে ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৭ জন ভোটার মোট প্রার্থী ১ হাজার ৯৬৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করছেন।
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ২৭টি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। বিএনপি এবং সমমনস্ক দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেয়নি।উল্টে এই নির্বাচনের প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা দ্বিতীয় দিন হরতাল চলছে বাংলাদেশে। এই হরতালকে ঘিরে বিক্ষিপ্ত অশান্তি হচ্ছে।
তাই বলা যায় এই অশান্তির আবহে বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে কঠোর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সশস্ত্রবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর ৪০ হাজারের বেশি বাহিনী শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি কাজ করছে বিজিবি, র্যাব ও পুলিশসহ সব বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে নানা সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার রাতে ঢাকায় ট্রেনে আগুন দেয়া ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ভোটকে কেন্দ্রে সংঘর্ষ এবং বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে ১৮ই ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর থেকে পাঁচই জানুয়ারি পর্যন্ত ১৮ দিনে ১৫৬ টি জায়গায় নির্বাচনি সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এই হিংসার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তিন জনের।
❤ Support Us