Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুন ২৭, ২০২৪

দুই বিধায়কের আটকে থাকা শপথ নিয়ে রাজ্যপালের ভূমিকার সমালোচনায় মুখ্যমন্ত্রী

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
দুই বিধায়কের আটকে থাকা শপথ নিয়ে রাজ্যপালের ভূমিকার সমালোচনায় মুখ্যমন্ত্রী

নির্বাচনের ফল প্রকাশের ২৩ দিন পরেও শপথ নিতে পারলেন না তৃণমূলের দুই নব নির্বাচিত বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন । রাজ্যপাল চাইছেন শাসক দলের দুই বিধায়ক শপথ নিন রাজভবনে এসে । কিন্তু বরানগর এবং ভগাবানগোলার দুই বিধায়ক স্পষ্ট জানিয়েছেন তাঁরা শপথ নেবেন বিধানসভাতেই । এনিয়ে বিধানসভ এবং রাজভবনের মধ্যে পত্রযুদ্ধ অব্যাহত । রাজ্যপাল এই মুহুর্তে রয়েছেন দিল্লিতে । বিধানসভার সামনে ধর্ণায় বসেছেন সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন । আজ নবান্নের বৈঠক থেকে শপথ ইস্যুতে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী ।
বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘ দুই বিধায়ক জেতার পর একমাস ধরে বসে আছে , রাজ্যপাল ওদের শপথ নিতে দিচ্ছেন না ।’ এরপরই সিভি আনন্দ বোসের সমালোচনা করে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘ মানুষ নির্বাচিত করেছে ওদের,রাজভবনে যেসব কীর্তি কলাপ হচ্ছে, সেখানে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছে । রাজ্যপাল কোন অধিকারে শপথ আটকে রেখেছে । তিনি নিজে হয় বিধানসভায় যাবেন, অথবা স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেবেন । ‘
বুধবার দুপুর দুটোর পর রাজভবন থেকে দিল্লির উদ্দ্যেশ্যে রওনা হন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । অন্যদিকে বিধানসভায় গতকাল থেকেই ধর্ণায় বসেছেন বরানগর এবং ভগাবানগোলার দুই বিধায়ক । বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায় বলেন, আমরা সংবিধান, রাজ্যপাল এবং তাঁর চেয়ার শ্রদ্ধা করি, কিন্তু রাজ্যপাল নিজের মতো করে সাংবিধানিক নিয়ম গড়তে চাইছেন। তাঁর উচিত, বিধানসভায় এসে আমাদের শপখ বাক্য পাঠ করানোর ।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে, বিষয়টিতে হস্তক্ষেপের দাবি জানাতে পারেন তৃণমূলের সাংসদরা । এনিয়ে আজ সংসদ ভবনের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুদীপ বন্দোপাধ্যায় এবং কল্যান বন্দোপাধ্যায় । অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে, রাজ্যপালদের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা । বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, দেশের শীর্ষ আদালতেও পক্ষপাতদুষ্ট রাজ্যপালদের কাজ সমালোচিত হয়েছে বলে এদিন বলেন তাঁরা। আটকে থাকা শপথ প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যান বন্দোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যপাল বিধানসভায় না গেলে, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দিন। তাঁরাই রাজ্যপালের অনুপস্থিতিতে শপথ করাবেন নব্য নির্বাচিত দুই বিধায়ককে । তিনি সাংবিধানিক নিয়মকে ভঙ্গ করতে চাইছেন। আসলে রাজ্য সরকারকে হেনস্থা করতেই বোস এসব করছেন বলে অভিয়োগ করেন তৃণমূল সাংসদ।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!