Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা
  • ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২

৪৩ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেন্ট্রাল পার্কের নতুন নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
৪৩ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেন্ট্রাল পার্কের নতুন নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেন্ট্রাল পার্কের নাম পরিবর্তন করে ‘বইমেলা প্রাঙ্গন’ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। বাংলা ও বাংলাদেশ নিয়ে আবেগে ভাসলেন তিনি। বললেন, ‘দুই দেশে কোনও বিভেদ নেই। তারা একে অপরের চিরসাথী। সীমানা দিয়ে দুই বাংলাকে আলাদা করা যায় না।’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের সকলের শুভকামনাও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলকে কমপক্ষে একবার মেলায় আসার আহ্বান জানান তিনি। আগামী বছর আন্তর্জাতিক সংগীত মেলার আয়োজন করা হবে বলেও ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী।

৪৩ তম কলকাতা বইমেলা শুরু । এবারের থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বইমেলার উদ্বোধন করেন। এবার তাঁর ১০টি বই প্রকাশ হওয়ার কথা। এদিন দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ বইমেলায় পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী সুজিত বসু, মালা রায় এবং তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন প্রথমে তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র স্টলের উদ্বোধন করেন তিনি।

এরপর কলকাতা পুলিশের স্টল ঘুরে দেখেন। স্টলে থাকা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথাবার্তা বললেন। তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের স্টলেও যান তিনি। স্টলে থাকা বইপত্র নেড়েচেড়ে দেখলেন।জানা গিয়েছে, এবার মোট ৬০০টি স্টল রয়েছে। লিটল ম্যাগাজিনের স্টল ২০০টি। মেলায় ঢোকা ও বেরোনোর জন্য মোট ৯টি তোরণ রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি বঙ্গবন্ধুর লেখা বইয়ের আদলে। বঙ্গবন্ধুর নামে একটি গেটও রয়েছে। ২টি সত্যজিৎ রায় ও অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে। একটি বিশ্ববাংলা গেটও রয়েছে।

মেলার ২টি হলের নাম দেওয়া হয়েছে সুভাষচন্দ্র বসু ও ঋষি অরবিন্দর নামে। লিটল ম্যাগাজিনের প্যাভিলিয়ানে হবে কবি-সম্পাদক শম্ভু রক্ষিত ও প্রভাত চৌধুরী নামে। কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের নামে রয়েছে মুক্তমঞ্চ। বইমেলার জন্য এবারও বিশেষ বাসের ব্যবস্থা হয়েছে। বিধাননগরের অটোচালকদের সঙ্গে কথা বলে নির্দিষ্ট ভাড়া ঠিক করা হয়েছে। পিয়ারলেস হাসপাতালের পক্ষ থেকে মেডিক্যাল সাহায্যের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

এবারই প্রথম বইমেলায় অংশ নিচ্ছে ইরাক। এবারও সিইএসসির সাহায্যে থাকছে বইমেলার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ। মেলা পরিবেশবান্ধব হল কিনা, সে বিষয়ে খেয়াল রাখবে বনদপ্তর। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। এই পরিস্থিতিতে বহু মানুষই এবার বইমেলামুখী হবে বলেই আশা প্রায় সকলের। সেকথা মাথায় রেখে নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। মেলাচত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!