- Uncategorized এই মুহূর্তে দে । শ
- ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
সম্প্রীতির পার্ক সার্কাস ময়দানে, আজ মিলনোৎসবের সূচনায় ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে বহু মন্ত্রী, প্রশাসনের সদস্য আর গুণীজন।
জ্বলে উঠল মহামিলনের দীপশিখা, ঝলকে ঝলকে রং ছড়াল বিচিত্র ঐশ্বর্য।

ফাইল ছবি
আজ, শুক্রবার সম্প্রীতির পার্ক সার্কাস ময়দানে ঝলকে উঠল ঐক্যের আলো। সন্ধ্যা ৫ টা ৩০ মিনিটে, পূর্ব ঘোষিত মিলন উৎসবের উদ্বোধন করলেন নগরোন্নয়ন ও পৌর বিষয়ক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বাংলার প্রবাহমান ঐতিহ্য আর অঙ্গীকারের হেফাজতে এ উৎসবের গুরুত্ব অসামান্য, যা ছড়িয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগ্রহ আর অনুপ্রেরণা প্রশ্নাতীত।
৯০-এর দশকে, সংখ্যালঘু বিত্ত নিগমের স্থাপনা থেকে, প্রতি বছর এ উৎসবের আয়োজন সবার নজর কাড়ছে। অন্যান্য মেলা কিংবা উৎসব থেকে তার বৈশিষ্ট্য আলাদা। বাংলার সামাজিক সম্পর্কের বেগবান স্রোতকে বহুমাত্রিকতায় আরো বেশি ঋদ্ধ করতে চান সংগঠকেরা। চান নাগরিক মধ্যবিত্তের সঙ্গে প্রান্তজনকে একই সারিতে, পাশাপাশি বসাতে। বিবিধের মাঝে মিলন মহান– এটাই এ উৎসবের দার্শনিক আর সমাজতাত্ত্বিক সত্য। এ সত্যকে তুলে ধরতে বাংলার প্রতিষ্ঠিত গৌরব ও অনড় প্রতিজ্ঞাকে বরাবর স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। মুখ্য আয়োজক সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম হলেও, যৌথ অঙ্গীকারকে উঁচিয়ে ধরতে সমবেত হয় সরকারের বিভিন্ন দফতর । আজকের উদ্বোধনী মঞ্চে, তারই আলোকিত দৃষ্টান্ত দেখা গেল–ব্রাত্য বসু, জাভেদ খান, পুলক রায়, বিপ্লব মিত্র, সিদিকুল্লাহ চৌধুরী, মহম্মদ গুলাম রব্বানি, ইয়াসমিন সাবিনা, নাদিমুল হক, আহমেদ হাসান ইমরান এবং গোলাম আলি আনসারির মতো কৃতীজনের ভাষণে।
উৎসব চলবে ১০ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এবারও বহুমুখী আয়োজনে, অঙ্গীকারের বিস্তারে, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিঘোষিত চেতনা যুক্ত করে, সপ্তাহ ব্যাপী মধ্য কলকাতার চারমুখ সংলগ্ন চত্বর থেকে সে তার মর্ম আর কর্মের বাণী ছড়াতে শুরু করল শহরের সর্বত্র। আর এভাবেই আলোড়ন আর আলোচনার খোরাক জুগিয়ে বলছে, সম্প্রীতির বৃক্ষরোপনে বাংলার হকিকত অব্যাহত। কোনো উস্কানি, গুজব, অসহিষ্ণুতার প্রশ্রয় নেই তাঁর হৃদয়ের উচ্চারণে, দৈনন্দিন যাপনেও। বাংলায় এসে মিশে গেছে এক সুর, এক গান। ‘পাথরে পাথরে উঁচু করে বেঁধে দেব অজেয় মিনার।’
❤ Support Us