- স | হ | জ | পা | ঠ
- এপ্রিল ৬, ২০২২
একাধিক রাজ্যে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি মৌসম বিভাগের ।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ এর মধ্যেই দেশের উত্তর-দক্ষিণ রাজ্যগুলিতে লু বইছে! ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা৷ দুপুরে ঘরের বাইরে বের হলেই সূর্যমামার চোখ রাঙানি আরও বাড়ছে। মৌসম বিভাগও কোনো আশার খবর দিতে পারেনি। বরং জানিয়েছে, একাধিক রাজ্যে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে৷
মৌসম বিভাগের পূর্বানুমান অনুযায়ি আগামী পাঁচদিন দিল্লি, জম্মু, হিমাচল প্রদেশ, দক্ষিণ হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের বেশির ভাগ অংশে তেজ লু বইবে৷ এরই সঙ্গে এই রাজ্য অধিকতম তাপমাত্রাও বাড়বে৷ এতে লোককে প্রবল গরমের সম্মুখীন হতে হবে৷
বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে মেঘালয়, অসম, অরুণাচলপ্রদেশ, সিকিম, পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ এলাকায় । যদিও ৮ এপ্রিলের আগে বারিধারা ছড়বে বলে মনে হচ্ছে না।পশ্চিমবঙ্গের খাঁড়িতে ভারতীয় ক্ষেত্র আগামী কিছুদিন তুফানি থাকবে৷ এই সময়ে ৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় হাওয়া বইবে৷ পাশাপাশি এই এলাকায় বৃষ্টিও হতে পারে৷ দিল্লিতে জারি ভীষণ গরম৷ এর থেকে এখনই মুক্তি হচ্ছে না৷
অধিকতম তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শুক্রবার অবধি তা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যাবে৷ এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছ আবহাওয়া দফতর৷বদলে যাওয়া আবাহাওয়া কারণে এইভাবে বাড়ছে উষ্ণতা, কমছে বৃষ্টি। এর ফলে ৩৩০ কোটি থেকে ৩৬০ কোটি লোক এই বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে প্রভাবিত হতে পারেন।গ্রিন হাউজ গ্যাসের প্রভাবে আমূল পাল্টে যাচ্ছে আবহাওয়া। ইন্টারগভর্মেন্টাল প্যানেল অন ক্যালমেড চেঞ্জ (আইপিসিসি)-এর দেওয়া একটি রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে এই রিপোর্ট প্রকাশিতা হয়েছে।
রিপোর্টে প্রাথমিক ভাবে বলা হয়েছে, মানুষের সৃষ্ট বিভিন্ন দূষণের কারণে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বাড়তে পারে। তবে এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির এলাকাগুলি প্রি-ইন্ডাস্ট্রিয়াল লেভেলের। বলা হয়েছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধির মূল কারণ যে কার্বন ডাই অক্সাইডের নিষ্ক্রমণ, তা ১৯০০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ১০০ বছরে যতটা বেড়েছে তা শেষ ৮ লক্ষ বছরে বৃদ্ধি পায়নি।আইপিসিসি-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা গড়ে ১.৫ ডিগ্রি থেকে ১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে। আগের থেকে যা অনেকটাই বেশি। কিন্তু পরবর্তী ৭০ বছরে সেই তাপমাত্রা বা়ড়বে অনেকটা বেশি, প্রায় ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর ফলে কী হবে! রিপোর্টে বলা হয়েছে, মোট ৩৩০ কোটি থেকে ৩৬০ কোটি লোক এই বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে প্রভাবিত হতে পারেন। তাঁদের কোনও না প্রকারে ক্ষতি হতে পারে। হয়ত দেখা যাবে, মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাওয়ার ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে, তাতে গৃহহীন হবেন অনেকে।
এ সবের থেকে এক মাত্র মুক্তির উপায় হিসাবে গবেষকরা বলেছেন, মানুষের সৃষ্ট দূষণের পরিমাণ কমাতে হবে। মানুষের বিভিন্ন কাজে গ্রিন হাউজ গ্যাসের যে পরিমাণ নির্গত হয়, তার পরিমাণ যদি না কমানো যায়, তাহলেই একমাত্র মুক্তি।
❤ Support Us