- এই মুহূর্তে
- ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২
প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর হুঙ্কার, সরকার গ্যারান্টি দিচ্ছে, ছাত্রদের ঋণ দিতেই হবে ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে আলোচনা করতে আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৈঠকে বসেন । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইএএস, আইপিএস জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারগণ।
বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিজের দফতরের কাজের খেয়াল রাখতে হবে। তলার অফিসাররা নিচের তলায় কাজ ঠেলে দেন। এটা চরম অবহেলার পরিচয়, এমনটা করা চলবে না। সরকারি কাজে গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।’
করোনা প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ৭২ শতাংশ মানুষকে আমরা করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছি। মানুষের মধ্যে সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় সমাধানের কাজ শুরু হয়েছে । ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে । ৪ কোটি টাকার বেশি অর্থ সাহায্য করা হয়েছে । স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলি অসহযোগিতা করছে। কোনও ব্যাঙ্ক না দিলে, সমবায় ব্যাঙ্ক ঋণ দেবে। যে সমবায় ব্যাঙ্ক ঋণ দিচ্ছে না, তার কাছে জবাব চাওয়া হোক। সরকার গ্যারান্টি দিচ্ছে, ছাত্রদের ঋণ দিতেই হবে। রাজ্যে রাজস্ব আদায় কোভিড আবহে কমেছে। কেন্দ্রের কাছ থেকে এখনও ৯০ হাজার কোটি টাকা রাজ্য পায়। বাজেট বহির্ভূত খরচ করা যাবে না। গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পই চলবে, নতুন প্রকল্প শুরু করা যাবে না।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মানুষের সব অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। কাজের নিরিখে পূর্ব বর্ধমান, বীরভূমের মত কিছু জেলা পিছিয়ে। পঞ্চায়েত দফতরের কাজে আরও জোর দিতে হবে। ১০০ দিনের কাজে আরও জোর দিতে হবে। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় কাজ দ্রুত গতিতে হচ্ছে না কেন? আলিপুরদুয়ার ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা থেকে বেশি অভিযোগ আসছে। পশ্চিম বর্ধমান সব ব্যাপারে পিছিয়ে থাকে কেন?
❤ Support Us