Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুন ৯, ২০২৩

সুপ্রিম কোর্ট থেকে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলা প্রত্যাহার করছে রাজ্য

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
সুপ্রিম কোর্ট থেকে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলা প্রত্যাহার করছে রাজ্য

শেষ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলা সুপ্রিম কোর্ট থেকে তুলে নীল রাজ্য সরকার। এটা কি বিরোধীদের এবং আমজনতার চাপে পরে রাজ্য সরকার করল? এই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে পুরসভায় কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে মামলা করেও রাজ্য সরকার তা তুলে নেবে । প্রসঙ্গত সুপ্রিম কোর্টে যে-বিষয়ে মামলা করা হয়েছে, হাই কোর্টেও সেই সংক্রান্ত মামলা কী ভাবে চলতে পারে— শুধু বিরোধী বা  আমজনতাই নয়, এই প্রশ্ন আদালতেও রাজ্যের বিরুদ্ধে উঠেছে । এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পুরসভায় কর্মী নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে মামলা করেও শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকার তা তুলে নেওয়া হবে  বলে বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতা হাই কোর্টে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত এই মামলায় হাই কোর্টের ডিভিশন বা যৌথ বেঞ্চে শুনানি চলছে। শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেও কী ভাবে হাই কোর্টে শুনানি হচ্ছে? এদিন এমনই  প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের যৌথ বেঞ্চ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হাই কোর্টে মৌখিক ভাবে জানান, সুপ্রিম কোর্ট থেকে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

রাজ্যের স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়েই তদন্তকারীরা রাজ্যের বেশ কিছু পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির সন্ধান পায় বলে ইডি আগেই জানিয়েছিল । সৌমেন নন্দী নামে প্রাথমিক শিক্ষকপদে এক চাকরিপ্রার্থীর মামলায় তারা সেই বিষয়টি সামনে আনায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই-কে তদন্তের নির্দেশ দেন। এর পর রাজ্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলাটি হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে যায় এবং তিনি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই  বহাল রাখেন। তার পরে মামলাটি বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে যায়। বৃহস্পতিবার  সেই মামলায় রাজ্য সরকারের তরফে প্রথমে সুপ্রিম কোর্টের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। পরে ইডি-র কৌঁসুলি এই বিষয়ে উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করার কথা কেন জানানো হয়নি? তার পর  রাজ্য সরকারের আইনজীবীর কাছে বিষয়টি  জানতে চান বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। রাজ্যের কৌঁসুলি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময় মৌখিক ভাবে জানান, শীর্ষ আদালতের ওই মামলা রাজ্যের তরফে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

সিবিআই তদন্তে কেন রাজ্য সরকার বিরোধিতা করছে, বৃহস্পতিবার এই  বিষয়ে হাই কোর্টে  প্রশ্ন তোলেন সৌমেন নন্দীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও ফিরদৌস শামিম। তাঁরা জানতে চান, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পুরসভায় ২০০ কোটি টাকার দুর্নীতির কথা জানতে পেরেছে ইডি। তা হলে রাজ্য নতুন করে তদন্ত করবে কেন? তাঁরা আরও প্রশ্ন করে জানতে চান, নিয়োগ করেছে পুরসভাগুলি। রাজ্য সরকার তাদের বেতনের টাকা দেয়। পুরসভা-কর্তৃপক্ষ দুর্নীতি করে থাকলে রাজ্য সরকার সেই বিষয়ে তদন্তের বিরোধিতা করছে কেন? পুরসভায় কর্মী নিয়োগ মামলায় সিবিআই-র অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে গিয়ে আবার শীর্ষ আদালত থেকে সেই মামলা তুলে নেওয়ার রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!