- দে । শ
- ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
উচ্চ আদালতের রায়ে চাকরিহারা ১৯১১। ফেরত দিতে হবে বেতন। এজেণ্টদের দেওয়া টাকা ফেরতের দাবিতে কর্মচ্যুতদের আন্দোলনের পরামর্শ বিরোধী দলনেতার

আদালতের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন ১,৯১১ জন চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষাকর্মী। ফেরৎ দিতে হবে বেতন। হাইকোর্টের রায়ে তৈরি হয়েছে শূন্যপদে নিয়োগের সম্ভাবনা। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া, শুক্রবারের রায়ে জানাল উচ্চ আদালত।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় দিতে গিয়ে জানায়, সুপারিশে যে ১৯১১ জনের চাকরি হয়েছে তা বাতিল করতে হবে। মূলত ওএমআর শিটে বিকৃতি ঘটিয়ে সুপারিশপত্র আদায়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর এমন নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তিনি আরও জানান, যারা অবৈধভাবে চাকরি করছেন তাদের বেতন প্রদান বন্ধ করতে হবে। এতদিন পারিশ্রমিক বাবদ যে টাকা পেয়েছেন তা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
শুধুমাত্র চাকরি বাতিল নয়, চাকরি হারানোর কারণে যে শূন্যপদ তৈরি হল, তাতেও দ্রুত নিয়োগ সম্পূর্ণ করবার নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় বিচারপতি। সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে তিন সপ্তাহ। তার মধ্যেই শেষ করতে হবে কাউন্সেলিং। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে উদ্যোগী হয়েছে এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তই জারি করেছেন তাঁরা। বহু স্কুলে এব্যাপারে কোনো নোটিশ অবশ্য এখনও এসে পৌছায়নি। এপ্রসঙ্গে এসএসসি আরও জানিয়েছে, ওয়েটিং লিষ্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্রে বিকৃতি আছে কিনা তাও যাচাই করে দেখা হবে।
বেআইনীভাবে নিয়োগের কথা আগেই স্বীকার করেছিল এসএসসি। শুক্রবার আদালতের রায় সামনে আসার পর চাকরি চুরির কেলেঙ্কারিতে শাসক দল তৃণমূলের সমালোচনায় সরব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কর্মচ্যুত গ্রুপ ডি কর্মীদের উদ্দেশ্যে তার মন্তব্য, যোগ্যদের বঞ্চিত করে অবৈধ ভাবে স্কুলে কাজ করছিলেন তারা। তাই তাদের চাকরি ফিরে না পাওয়াই উচিত। সেইসঙ্গে চাকরিহারাদের প্রতি তার পরামর্শ, তাঁরা যেন এজেণ্টদের দেওয়া টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশ্যে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। কারণ অবৈধভাবে আত্মসাৎ করা টাকা কালীঘাটেই পৌঁছেছে, দাবি শুভেন্দুর।
❤ Support Us