Advertisement
  • এই মুহূর্তে বি। দে । শ
  • জানুয়ারি ১৭, ২০২৫

এইচএমপিভির পর মারবুর্গ ভাইরাস নিয়ে সতর্কতা জারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। সংক্রমণের কোনো ইতিবাচক রিপোর্ট নেই দেশে, দাবি ভাইরাসের উৎসস্থল তানজানিয়ার

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
এইচএমপিভির পর মারবুর্গ ভাইরাস নিয়ে সতর্কতা জারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। সংক্রমণের কোনো ইতিবাচক রিপোর্ট নেই দেশে, দাবি ভাইরাসের উৎসস্থল তানজানিয়ার

তানজানিয়ায় মারবুর্গ ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে, এনিয়ে সতর্কতা জারি করেছিল বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা ।দক্ষিণ আফ্রিকার ওই দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ৪ জনের মৃত্যুর পর থেকেই হ্যু-এর তরফে ঘোষণা করা হয়, তানজেনিয়ার প্রতিবেশী রুয়ান্ডায় এই রোগের প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে চলছে। এরপরই অবশ্য প্রাণহানি এবং সংক্রমণ সংক্রান্ত খবর অস্বীকার করে তানজানিয়া প্রশাসন ।

বুধবার রাতে, সে দেশে মারবুর্গ ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে তানজানিয়ার সরকার বিবৃতি দেয়, দেশটিতে কেউ মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত, সকল সন্দেহভাজন রোগীর মারবার্গ ভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট নেতিবাচক। এবিষয়ে তানজানিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনিস্তা মাহগামা বলেন, ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তার সরকার । ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে সরকারি পরীক্ষাগারে তা খতিয়ে দেখার কাজ চলছে ।

অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ১০ জানুয়ারী তাঁরা তানজানিয়ার কাগেরা অঞ্চলে মারবার্গ ভাইরাস সংক্রমণের নির্ভরযোগ্য তথ্য পেয়েছেন। ইবোলা সদৃশ্য এই ভাইরাস, প্রবল জ্বর, মাথাব্যথা, ডায়রিয়া, রক্ত বমি এবং রক্তপাতের মতো গুরুতর উপসর্গ সৃষ্টি করে। আক্রান্তদের মধ্যে মারবার্গের সাধারণ লক্ষণগুলি দেখা গিয়েছিল। এই দ্রুত সংক্রামক জ্বরে মৃত্যুর হার ৮৮% পর্যন্ত হয়।  পূর্ব আফ্রিকার কিছু অংশে বাদুড়ে খাওয়া ফল থেকে এটি মানুষের শরীরে সংক্রামিত হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার জেনেভা থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেন, ‘ তানজানিয়ার উচিত সংগৃহীত অতিরিক্ত নমুনা সংগ্রহ করে  আন্তর্জাতিক পরীক্ষাগারে পাঠানো।, তিনি আরও বলেন, হু তানজানিয়া সরকারকে সব রকমের সহায়তা করতে প্রস্তুত। বিশ্বসাস্থ্য সংস্থা তানজানিয়া এবং প্রতিবেশী দেশগুলিতে এই প্রাদুর্ভাব দ্রুত ছড়িয়ে পড়বার আশঙ্কা করছে।  এই উদ্বেগের কারণ কাগেরার অবস্থান রুয়ান্ডা, উগান্ডা, বুরুন্ডি এবং কঙ্গোর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের সীমান্তের কাছে। সেখান থেকে অন্য দেশগুলিতে ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পরবার প্রবল সম্ভাবনা দেখছে হু। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, তানজানিয়ার প্রতিবেশী দেশ রুয়ান্ডায় মারবুর্গ প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। সেখানে ৬৬ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৫ জন মারা গেছেন।দার এস সালাম এবং প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে সংযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থার নিরিখে কাগেরা অঞ্চলের সীমানা জুড়ে যদি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। সংক্রমণ আটকাতে সতর্কতা ও শক্তিশালী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন।

কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সময় সংক্রমণের তথ্য না জানানো এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা উপেক্ষা করার জন্য তানজানিয়া সমালোচিত হয়েছিল। তানজানিয়া ২০২৩ সালে প্রথম মারবার্গ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শিকার হয়েছিল, প্রাণ হারিয়েছিলেন মোট ৯ জন। যদিও এপ্রসঙ্গে সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘তানজানিয়া এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আটকাতে রোগ নজরদারি ব্যবস্থা শক্তিশালী করেছে।’


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!