শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
বিজেপি সহ বিরোধীরা অভিযোগ করে বাংলায় কোনও কাজ নেই। মালদায় মিজোরামে কাজ করতে গিয়ে মৃত শ্রমিকের বাড়ি গিয়ে এমনই এক মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রীর মুখে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস শুনলেন সেই একই কথা, “বাংলায় কোনও কাজ নেই।” শুভেন্দু অধিকারী বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন বাংলায় এই মুহূর্তে ৫০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করছেন। আসলে এই কারণেই, রাজ্যে কাজ না পেয়ে, উপায় না থাকায় মিজোরামে কাজে গিয়েছিলেন মালদার বেশ কিছু পরিবারের পরিবারের সদস্য। শুক্রবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সামনে এসব কথা বলতে বলতে জ্ঞান হারালের মিজোরামে রেলসেতু দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিজনরা। এদিন রতুয়া, ইংরেজবাজারে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। রেলের তরফে দেওয়া ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ মৃতের পরিবারপিছু সদস্যদের হাতে তুলে দেন রাজ্যপাল।
শুক্রবার সকালে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে করে মালদা যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। কিন্তু বন্দে ভারতের রেকে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ায় অন্য রেকের ব্যবস্থা করতে কিছুটা দেরি হয়ে যায়। ফলে প্রায় ১ ঘণ্টারও বেশি সময় দেরিতে ছাড়ে ট্রেনটি। মালদায় পৌঁছে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন রাজ্যপাল। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। রাজ্যের তরফে ক্ষতিপূরণ অপর্যাপ্ত বলে অভিযোগ জানান কৌস্তভ। এর পর রতুয়া ২ নম্বর ব্লকে যান রাজ্যপাল। সেখানে একই গ্রামের ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনায়। সেখানে মৃতদের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন সি ভি আনন্দ বোস। রেলের তরফে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের মধ্যে ৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক ও ৫০ হাজার নগদ নিহতদের পরিবারের হাতে তুলে দেন রাজ্যপাল।
মিজরামে রেল সেতুর কাজ করতে গিয়ে নিহতদের আত্মীয়রা রাজ্যপালকে এদিন জানান, প্রত্যন্ত ওই এলাকায় মানুষের হাতে কোনও কাজ নেই। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়ে মিজোরামে কাজ করতে গিয়েছিলেন নিহত যুবকরা। পরিবারের মুখে একটু স্বাছন্দ আনতে গিয়েই এই চরম পরিণতি হল তাঁদের। ইংরেজবাজারেও মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। এখানেও মৃতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন অর্থ, পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এই ঘটনা নিয়ে কাউকে রাজনীতি না করার অনুরোধ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
মিজোরামে নির্মীয়মান রেলসেতু ভেঙে এখনো পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এদের প্রত্যেকেই পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে মিজোরাম রাজ্যের সরকার।
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34