‌ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নেই নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়ামসন

কোনও দল চূড়ান্ত ফিট ক্রিকেটারদের নিয়েই বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে। কোনও দলে আবার রয়েছে আধা ফিট ফুটবলার। অস্ট্রেলিয়া যেমন ফিট না হওয়া সত্ত্বেও ওপেনার ট্রেভিস হেডকে দলে রেখেছে। তেমনই গতবারের রানার্স নিউজিল্যান্ড আবার ম্যাচ ফিট না থাকা সত্ত্বেও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে খেলতে এসেছে। পুরো ফিট না থাকায় বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে খেলতে পারবেন না নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।
আইপিএল খেলতে এসে চোট পান কেন উইলিয়ামসন। তাঁর হাঁটুর এসিএল ছিঁড়ে যায়। দেশে ফিরে গিয়ে অস্ত্রোপচার করান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। এরপর রিহ্যাব শুরু হয়। ধীরে ধীরে ফিট হয়ে উঠছিলেন। পুরোপুরি ফিট না হওয়া সত্ত্বেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে দলের সঙ্গে থেকে রিহ্যাব প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন। টিম ম্যানেজমেন্ট ভেবেছিল বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচগুলি খেলে নিজেকে ম্যাচ ফিট করে নেবেন উইলিয়ামসন। কিন্তু এখনও পুরোপুরি ফিট হতে পারেননি নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। তাঁর মাঠে ফিরতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে ফিল্ডিং করতে নামেননি।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হাঁটুর চোট থেকে এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেননি উইলিয়ামসন। তাই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে তিনি খেলতে পারবেন না। নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিড বলেছেন, ‘‌অস্ত্রোপচারের ধাক্কা সামলে উঠে ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পাওয়ার জন্য উইলিয়ামসনকে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া হবে। ওর ম্যাচে ফেরার সময় লাগার ব্যাপারটা আমরা শুরু থেকেই ভেবেছি। কেনের রিহ্যাবের ওপর নজর রেখেছি। পুরো ফিট না হলে ওকে মাঠে ফেরাতে চাই না।’
উইলিয়ামসনের পরিবর্তে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে অধিনায়কত্ব করবেন টম ল্যাথাম। ৯ অক্টোবর হল্যান্ডের বিরুদ্ধে  বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচের আগেই উইলিয়ামসন পুরোপুরি ফিট হয়ে যাবেন বলে মনে করছে নিউজিল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট।