- প্রচ্ছদ রচনা
- জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
ভারতে মহানাগরিক মহিলা। কে, কখন কোথায়?

সমাজে মেয়েদের স্বাধীনতা স্পৃহাকে আটকে রাখার আবহমান কাল ধরে চলে আসা এক রীতি। কিন্তু যাবতীয় রীতি-আচার-অনুষ্ঠানের শৃংখল ভেঙ্গেও নিজেকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন বহু নারী। ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্ত প্রচুর। পরিবার ও সমাজের তৈরী করা কৃত্রিম বেড়াজাল ভেদ করে সামলেছেন শাসন চালাবার কাজ। সে দেশ হোক বা রাজ্য কিংবা নগর –প্রশাসনিক কার্যভার গ্রহণ করতে এগিয়ে এসেছেন বহু নারী।
দিল্লির সদ্য শেষ হওয়া পৌর নির্বাচনের ফল অনুসারে, কোনো নারী কর্তৃক দিল্লি পৌর নিগম শাসিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ভারতে পৌর প্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন এমন মহিলার সংখ্যা খুব কম নয়। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসেই তারা চেরিয়ান দেশের প্রথম মহিলা মেয়র রূপে মাদ্রাজ শহরের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন ১৯৫৭ সালে। তার ঠিক পরের বছরই অরুণা আসফ আলি হয়েছিলেন দিল্লির মেয়র। প্রসঙ্গত, তিনি ছিলেন দিল্লির প্রথম মহিলা মেয়র। পিছিয়ে নেই দেশের আর এক অন্যতম ব্যস্ত শহর মুম্বাইও। সেখানেও সুলোচনা মোদি হয়েছিলেন প্রথম মেয়র। মুম্বাইয়ের উল্লেখ আরও বেশি প্রাসঙ্গিক কারণ বৃহন্মুম্বাই কর্পোরেশনের দায়িত্বভার সামলেছিলেন স্নেহাল আম্বেকার। যিনি ছিলন ভারতের প্রথম দলিত মহিলা মেয়র। তালিকায় রয়েছে কর্নাটকের ব্যাঙ্গালোরও। সেখানেও মুমতাজ মহল বেগম দেশের প্রথম সংখ্যালঘু মহিলা হিসেবে মেয়েরের পদে আসীন হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গগত বলা প্রয়োজন, দেশের বিভিন্ন মেট্রো শহরে মহিলা মেয়র দেখা গেলেও কলকাতা শহরে এখনও পর্যন্ত কোনো মহিলাকে মেয়র হতে দেখা যায়নি। শুধুমাত্র মেট্রো শহরগুলোই নয়– মহারাষ্ট্রের পুনে, অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া, উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্ণৌ প্রভৃতি। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশেই বারাণসী,কানপুর পৌরসভায় মেয়েরা পুরসভার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। দিল্লিতেও যখন ২০১২ তেপুরসভার তিন ভাগে বিভাজন হয়, তারপরও মহিলাদের দেখা গেছে মেয়রের দায়িত্ব নিতে। এখন উত্তর , পূর্ব ও দক্ষিণ দিল্লি পৌরসভা সংযুক্ত হওয়ার পর আবার সমগ্র দিল্লির পুর নিগমের শাসনভার নিতে চলেছেন আর এক নারী। অরুণা আসফ আলি যে পদ অলংকৃত করেছিলেন তার মহিমা যিনি মেয়র পদে বসবেন তিনি বজায় রাখতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দিল্লির স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।
❤ Support Us