- দে । শ
- এপ্রিল ১৩, ২০২৪
সন্দেশখালির মহিলারা আবার তৃণমূলের সঙ্গে আসছেন।

এপ্রিলে লক্ষ্মী ভান্ডারে বরাদ্দ বৃদ্ধি সঙ্গে সঙ্গে সন্দেশখালিতে মহিলাদের মন গলেছে। গত জানুয়ারিতে যে মহিলাদের দেখা গেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হতে। এখন সেই মহিলারাই ভিড় করছেন তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের প্রচারে। যে সন্দেশখালিতে মহিলারা তাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে বলে সামনের সারিতে এসে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে আরও বিস্তর অভিযোগ উঠেছে সেই আন্দোলন এখন স্তিমিত। তৃণমূল আবার ঘর গোছাতে নেমে পড়েছে। যেন কিছু হয়নি এই মনোভাব নিয়ে সন্দেশখালির গ্রামগুলিতে মহিলারা নেমে পড়েছেন তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে। দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি প্রচার সবেতেই এগিয়ে আসছেন মহিলারা। সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, ‘সন্দেশখালিতে যে ঘটনা গত জানুয়ারি থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঘটেছে তার কোন প্রভাব নির্বাচনে পড়বে না। কেননা সবটাই ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। বিজেপি , সিপিএম এই ঘটনা ঘটানোর নেপথ্যে প্রথম থেকে মদত দিয়ে গেছে। সেটা সন্দেশখালির মা বোনেরা এখন বুঝছেন।’ সন্দেশখালি ২ ব্লকের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মেঘনাদ মন্ডল বলেন, ‘সন্দেশখালির মা বোনেরা আমাদের সঙ্গেই আছেন। তাঁরা তো স্বতস্ফুর্ত ভাবে প্রচারে বেরচ্ছেন । পাড়া বৈঠকগুলিতে তাঁদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত।’ এদিন রাজবাড়ি গ্রামে গিয়ে দেখা গেল মহিলারা একই রকম শাড়ি পরে বেরিয়ে পড়েছেন। তৃণমূলের ঘাসের ওপর জোড়াফুল প্রতীক আঁকা, সবুজ পাড়ের শাড়ি পরে সবার হাতে প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের ছবি নিয়ে জমায়েত হয়েছেন। রত্না পাত্র, সীমা মন্ডল, মঞ্জু সর্দার, বিন্দু মাহাতো, ললিতা সর্দার, বলেন, ‘সন্দেশখালিতে কিছু এলাকায় জুলুম হয়েছে। বাম আমলেও এসব ছিল। কিন্তু তখন এত প্রচার ছিল না। কিন্তু গোটা সন্দেশখালিকে যেভাবে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেটা ঠিক নয়।’ তাঁরা বলেন, যে সমস্ত অভিযোগ উঠছে তার তদন্ত হওয়া দরকার। আমরা তো কোনদিন নিরাপত্তার অভাব বোধ করি না।’ এক তৃণমূল নেতার কথায় লক্ষ্মী ভান্ডারে মাসের বরাদ্দ ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১০০০ টাকা এবং ১০০০ হাজারের জায়গায় ১২০০ টাকা হতেই মহিলারা খুশি। এবং তারই প্রতিফলন ভোট প্রচারে।
❤ Support Us