- প্রচ্ছদ রচনা
- ডিসেম্বর ৯, ২০২২
হিজাব দ্রোহ রুখতে মহিলাদের যৌনাঙ্গ লক্ষ্য করে গুলি ইরানে
ইসলামের রীতি বিরোধী অনুশাসন চাপিয়ে বেকায়দায় শিয়া শাসিত সরকার

ইরানে মহিলা নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠছে সরকারের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এমন একটি খবর চাউর হয়েছে যা শুনে আতঙ্কে শিউরে উঠতে হয়। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, হিজাব বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে মেয়েদের চোখ-মুখ, যৌনাঙ্গেও গুলি চালায় নিরাপত্তারক্ষীরা।ছেলেদের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়।
মেহেশা আমিনির হত্যাকাণ্ডের পর ইরান জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মহিলারা রাজপথে বেরিয়ে রাগে ফুঁসতে থাকেন। বিদেশে পাঠরত কিংবা আশ্রিত মহিলারাও দমন-পীড়ন বন্ধ করার দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠেন। ইরানি বুদ্ধিজীবী, খেলোয়াড় সবাই এক বাক্যে সরকারের নীতিপুলিশের শাস্তির দাবিতে মানব বন্ধন গড়ে তুলে বুঝিয়ে দেন তারা চুপ থাকবেন না। সরকার পিছু হঠেনি। নীতি পুলিশকে বাতিল করা হয়েছে কিনা তা পরিষ্কার নয়। ৭৯ সালের আরব বিক্ষোভের সময় আন্তর্জাতিক মঞ্চ ছাড়িয়ে ফুটবল বিশ্বকাপের ময়দানে সমবেতভাবে হিজাব বিরোধী কঠোর মনোভাব ব্যক্ত করেন খেলোয়াড়রা। মহিলা দর্শকরা নানা রঙের পোষাক পরে দেহের কোনো অংশ উন্মুক্ত করে জানিয়ে দেন, তারা ঘাবড়ে যাননি। প্রতিবাদ চলছে। চলতে থাকবে।
সরকার বেকায়দায়।পরিস্থিতি প্রতিকুল। না পারছে পিছু হঠতে, না পারছে বাধ্যতামূলক হিজাব পড়ার নিয়ম শিথিল করতে। সরকারকে ভেতর বাইরের চাপে ভুগতে হবে। বিশ্বের কোনো দেশে হিজাবের এরকম কঠোর নিয়ম চালু হয়নি। ইরান যা করছে,তা ইসলামের নীতি বিরুদ্ধ এবং মানবিক যুক্তি বিরোধী।
❤ Support Us