- প্রচ্ছদ রচনা
- জুলাই ৩০, ২০২২
প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্রের সংকট বাড়ল, সহায়তায় অপারগ। জানিয়ে দিল বিশ্বব্যাঙ্ক

চরম বিপদে ভারতের প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র । ধুঁকছে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি । একদিকে চিনের কাছ থেকে নেওয়া চড়া সুদ, অন্যদিকে শিল্প সংকট । গত তিন মাসে আর্থিক সংকট তীব্রতর হয়েছে সেখানে । দেশের মোট আয়ের একটা বড় অংশই আসত পর্যটন শিল্প থেকে । করোনা সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর ধরে পর্যটন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় মুখ থুবড়ে পড়ে দেশের অর্থনীতি ।
ক্ষমতায় বসে থাকা রাজাপক্ষে সরকারের অপরিকল্পিত নীতি জেরে খালি হয়ে যায় দেশের কোষাগার । এপ্রিল-মে মাস থেকে চরম আর্থিক সঙ্কট দেখা দেয় শ্রীলঙ্কায় । ফুরিয়ে যায় জ্বালানি, তলানিতে এসে ঠেকেছে বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার । দেশ ছেড়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে । কঠিন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে, বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তার দিকেই তাকিয়ে ছিল দেশটি । তবে শেষ অবধি সেই আশাতেও জল ঢেলে দিল বিশ্ব ব্যাঙ্কই । তাদের তরফে জানানো হল, ঋণে জর্জরিত শ্রীলঙ্কাকে নতুন করে ঋণ বা আর্থিক সাহায্য করা সম্ভব নয় । এ প্রসঙ্গে, বিশ্বব্যাঙ্কের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে প্রয়োজন গভীর কাঠামোগত সংস্কারের । সংস্কার যতদিন না হচ্ছে, ততদিন নতুন কোনও অর্থনৈতিক সাহায্য করা সম্ভব নয় বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে । অবশ্য একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, ওষুধ, রান্নার গ্যাস, স্কুলের পড়ুয়াদের খাবার, দরিদ্র পরিবারে নগদ সহায়তার জন্য, ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কাকে যে ঋণ দেওয়া হয়েছে, সেই টাকা যাতে সেই খাতেই কাজে লাগে, তার চেষ্টা করা হচ্ছে । এখনও পর্যন্ত এর মধ্যে অন্তত ১৬০ মিলিয়ন ডলার আপৎকালীন প্রয়োজনীয়তা মেটাতে বিতরণ করা হয়েছে । তা সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার সামগ্রিক পরিস্থিতির বদল ঘটার যে সম্ভাবনা এখনই নেই, তাও পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে ।
উল্লেখ্য, সংসার চালাতে দেহ ব্যবসায় নামতে বাধ্য হচ্ছেন মহিলারা । রাজধানী কলম্বোয় ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে দেহ ব্যবসার কেন্দ্র । শুধু টাকা নয়, প্রয়োজনীয় সামগ্রী, ওষুধ কিনতে শরীর বিক্রি করছেন তাঁরা । তাই এই ভয়াবহ সমস্যা সমাধানের উপায় বের করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বিক্রমসিংহে-গুণবর্ধনেদের কাছে ।
❤ Support Us