- এই মুহূর্তে দে । শ মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- জুন ১০, ২০২৩
আন্তর্জাতিক কুস্তি রেফারি জগবীর এবার পর্দা ফাঁস করলেন ব্রিজভূষণের। সামনে এল আরো অনেক কুকীর্তি

কুস্তিগিরদের পর এবার ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন আন্তর্জাতিক কুস্তি রেফারি জগবীর সিং। তিনি দাবি করেছেন, ২০২২ সালের ২৫ মার্চ লখনউতে অনুষ্ঠিত এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রায়ালের সময় ফটো সেশনে একজন কুস্তিগিরের শ্লীলতাহানি করেছিলেন ব্রিজভূষণ শরণ সিং। তাঁর কথায়, ব্রিজভূষণ একজন মহিলা কুস্তিগিরের এমন জায়গায় স্পর্শ করেছিলেন, যা করা উচিত নয়।
ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগিররা যৌন হেনস্তারর অভিযোগ নিয়ে আসার পর দিল্লি পুলিশ ২০০ জনেরও বেশি লোকের বিবৃতি রেকর্ড করেছিল। গত মাসের ২০ তারিখ পাতিয়ালায় আন্তর্জাতিক কুস্তি রেফারি জগবীর সিংয়ের বক্তব্য রেকর্ড করে দিল্লি পুলিশ। যিনি লখনউতে ২০২২ সালের ২৫ মার্চ এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রায়ালে হাজির ছিলেন। এক মহিলা কুস্তিগির অভিযোগ করেন, ট্রায়াল শেষে ফটো সেশনের সময় তাঁর শ্লীলতাহানি করেছিলেন ব্রিজভূষণ।
কুস্তিগিররা ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ শরণ সিং ও হেড কোচের সঙ্গে প্রথাগত ছবি তোলার জন্য মঞ্চে জড়ো হয়েছিলেন। সেই সময় ওই মহিলা কুস্তিগির হঠাৎ তাঁর নিতম্বে একটা হাত অনুভব করেন, যা তিনি এফআইআরে ‘অত্যন্ত অশালীন এবং আপত্তিকর এবং সম্মতি ছাড়া’ বলে অভিযোগ করেছেন। আন্তর্জাতিক রেফারি জগবীর সিং জানান যে, তিনি ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে তা করতে দেখেছিলেন। কুস্তিগির তাঁর অভিযোগে আরও বলেছেন, তিনি সরে যাওয়ার চেষ্টা করলে জোরপূর্বক তাঁর কাঁধ ধরে রাখা হয়েছিল।
জগবীর সিং বলেন, ‘আমরা সবাই ছবি তোলার জন্য দাঁড়িয়েছিলাম। তারপর সবাই লক্ষ্য করে মহিলা কুস্তিগির সরে যাচ্ছেন। তারপর সেখান থেকে চলে যান।’ ২০১৩ সালে আরও একটা ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন জগবীর সিং। থাইল্যান্ডের ফুকেটে অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতার নৈশভোজের সময় ব্রিজভূষণ মদ্যপ অবস্থায় এক মহিলা কুস্তিগিরের শ্লীলতাহানি করেছিলেন। এই ঘটনার প্রসঙ্গে জগবীর বলেন, ‘ব্রিজভূষণ সিং এবং তাঁর সহযোগীরা ভয়ঙ্কর মদ্যপ অবস্থায় থিলেন। এবং মহিলা কুস্তিগিরদের খারাপভাবে স্পর্শ করতে শুরু করেন। জোর করে তাদের আলিঙ্গন করার চেষ্টা করেন। বেশ কয়েকজন মহিলা কুস্তিগির নৈশভোজ পার্টি ছেড়ে চলে যান। আমরা তখন ভেবেছিলাম যে আমরা ফেডারেশনের সভাপতির পদ একজন দানবের হাতে তুলে দিয়েছি।’ কেন তিনি এতদিন নীরব ছিলেন, সেই প্রসঙ্গে জগবীর বলেন, ‘যখন রক্ষক নিজেই ভক্ষক হয়ে যায়, তখন আর কোথাও যাওয়ার থাকে না।’
❤ Support Us