Advertisement
  • দে । শ ভা | ই | রা | ল
  • আগস্ট ১৩, ২০২২

পোশাক বিতর্কে শিক্ষিকাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি নোটিশ। ন্যায় বিচারের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ অধ্যাপিকা।

অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের চরম পদক্ষেপ। কারণ, নেট মাধ্যমে তাঁর কিছু 'আপত্তিকর' ছবি।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
পোশাক বিতর্কে শিক্ষিকাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি নোটিশ। ন্যায় বিচারের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ অধ্যাপিকা।

চিত্র সংগৃহিত

কলকাতার এক সুপরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকার ছবি ‘আপত্তিকর’ মনে হয়েছে কর্তৃপক্ষের। তাঁর অভিযোগ, চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয় তাকে। সঙ্গে চাওয়া হয় ৯৯ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নেট দুনিয়ায় সমবেত প্রতিবাদ। নিজেদের সোস্যাল মিডিয়ায় সাঁতারের পোশাক পরে ছবি ছাড়ছেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রের সাথে যুক্ত মহিলারা। বিশ্ববিদ্যালইয়ের ‘অন্যায়’-এর প্রতিবাদে জনমত গড়তে শুরু হয়েছে সই সংগ্রহ। এ বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন প্রতিবাদিরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কি অভিযোগ?

অভিযোগ, ইনস্টাগ্রামের শিক্ষিকার ‘আপত্তিকর’ ছবি দেখতে পান এক ছাত্র। ছেলের সেই ছবি দেখা নিয়ে আপত্তি তোলেন তার অভিভাবক। ছাত্রের বাবা লিখিত অভিযোগ পাঠান বিশ্ববিদ্যালয়ে। কর্তৃপক্ষ কমিটি গঠন করে বিষয়টির তদন্ত শুরু করেন। অধ্যাপিকার বয়ান অনুসারে, ছবিগুলি ‘আপত্তিকর’ ও ‘অনুপযুক্ত’ বলে মনে করেন কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, এই ছবির কারণে ‘বদনাম’ ঘটছে বিশ্ববিদ্যালয়ের। সে কারণে তাকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

কি পদক্ষেপ নিলেন অধ্যাপিকা?

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ছাড়ার পর পূর্ব যাদবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা করেন ওই শিক্ষিকা। তিনি অভিযোগ করেন, তার সোস্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নীল রঙের সাতাঁর-পোশাক পরা দুটি ছবি তিনি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দিয়েছিলেন ২০২১- এর জুন মাসে। তারও প্রায় দু’মাস পরে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালইয়ের অধ্যাপিকা পদে যোগ দেন। ইনস্টাগ্রামে স্টোরির নিয়ম অনুযায়ী, ২৪ ঘন্টা পর সেই ছবির কোনো অস্তিত্ব থাকবার কথা নয়। অক্টোবর মাসে তো কোনো মতেই সে ছবি দেখা সম্ভব নয়। এছাড়াও, এটি পাবলিক পোস্ট ছিল না, ফলে তার অনুমতি ছাড়া কারোর পক্ষে সে ছবি দেখা সম্ভব নয়।

তাঁর অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি ঘরে শিক্ষিকাকে ডাকেন। সেখানে সাত জনের সামনে বসে তাঁকে সেই ছবির প্রিন্ট আউট দেখানো হয়। তাঁর অনুমতি ছাড়া সে ছবি ঘুরতে থাকে হাতে হাতে। শুনতে হয় বেশ কিছু তীর্যক মন্তব্যও।

কি বলছে জনগণ?

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর সমাজের একাংশ অন্যায় ভাবে শিক্ষক পদ থেকে অপসারণ এবং ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে সামিল। সমাজকর্মী রত্নাবলী রায় তার সাঁতারের পোশাক পরা ছবি নেট মাধ্যমে দিয়ে, ঘটনাটির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেছেন, শিক্ষকরা কে কী পোশাক পরবেন তা কারোর যোগ্যতার প্রমাণ হতে পারে না? স্বভাবতই ঘটনাটি ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে নীতিপুলিশির বারাবারিতে কোথাও কি ব্যক্তিগত যাপনে হস্তক্ষেপ ঘটছে?

ইতিমধ্যেই নিরিপেক্ষ বিচারের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই শিক্ষিকা।


❤ Support Us
গুম গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
ধারাবাহিক: একদিন প্রতিদিন । পর্ব ৫ পা | র্স | পে | ক্টি | ভ রোব-e-বর্ণ
পথ ভুবনের দিনলিপি । পর্ব এক ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
error: Content is protected !!